আবার অধ্যাদেশ জারি করল কেন্দ্রীয় সরকার। জানানো হল, ৩১ মার্চের পর কারও কাছে ১০টির বেশি বাতিল নোট মিললেই চার বছর পর্যন্ত কারাবাস হতে পারে। দিতে হতে পারে মোটা অঙ্কের জরিমানাও।
বুধবার নিজের মন্ত্রিসভার সঙ্গে বৈঠক করেছেন নরেন্দ্র মোদী। সেখানেই এই অধ্যাদেশটি পাশ করানো হয়েছে। বাতিল নোটের দায় সরকার এবং রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ঘাড় থেকে ঝেড়ে ফেলতে এ দিন আরও একটি অধ্যাদেশ পাশ করানো হয়েছে মন্ত্রিসভার বৈঠকে। নির্দিষ্ট সময়সীমা শেষ হওয়ার পর পুরনো নোট রিজার্ভ ব্যাঙ্কে জমা দিয়ে কেউ যাতে সমমূল্যের বৈধ নোট দাবি করতে না পারেন, তার জন্য রিজার্ভ ব্যাঙ্ক আইনে সংশোধন এনে এই অধ্যাদেশটি জারি করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতি স্বাক্ষর করলেই অধ্যাদেশ দু’টি কার্যকর হয়ে যাবে।
৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন ব্যাঙ্ক ও পোস্ট অফিসে বাতিল নোট জমা দিয়ে দেওয়ার সুযোগ রয়েছে। তার পরও রিজার্ভ ব্যাঙ্কে বাতিল নোট জমা দেওয়া যাবে। সেই সময়সীমা শেষ হচ্ছে ৩১ মার্চ। কেন্দ্র বুধবার যে অধ্যাদেশ পাশ করিয়েছে, তাতে বলা হয়েছে, সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার পর কারও কাছে সর্বোচ্চ ১০টি বাতিল নোট থাকতে পারে। তার বেশি থাকলেই শাস্তির মুখে পড়তে হবে। যত টাকার বাতিল নোট উদ্ধার হচ্ছে, তার পাঁচ গুণ অর্থ জরিমানা হিসেবে নেওয়া হতে পারে। চার বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডও হতে পারে। তবে নির্দিষ্ট সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার পর বলতে ৩০ ডিসেম্বরের কথা বলা হচ্ছে, নাকি ৩১ মার্চের কথা, তা পুরোপুরি স্পষ্ট নয়।
আরও পড়ুন: বিরোধী জোটের পথে পয়লা কদম
বাতিল নোট রিজার্ভ ব্যাঙ্কে জমা দিয়ে সমমূল্যের বৈধ নোট না পেলে, মামলা হওয়ার সম্ভাবনাও থেকে যায়। ৩১ মার্চের পর যাতে বাতিল নোটের মূল্য চোকানোর দায় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক বা সরকারের ঘাড়ে আর না থাকে, সে ব্যবস্থাও কেন্দ্র প্রায় পাকা করে ফেলেছে। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক আইন সংসোধন করে আজ যে অধ্যাদেশটি পাশ করানো হয়েছে, তাতেই এই ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। অর্থাৎ ৩১ মার্চের পর কেউ বাতিল নোট নিয়ে রিজার্ভ ব্যাঙ্কে গেলে, তার বিনিময়ে বৈধ নোট মিলবে না। আর কারও কাছে যদি ১০টির বেশি বাতিল নোট মেলে, তা হলে জেল বা জরিমানা হতে পারে।
বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সময়সীমার পরেও ১০টির বেশি বাতিল নোট রাখা বা ব্যাঙ্কে জমা দেওয়া যেতে পারে। তবে সেই বিশেষ ক্ষেত্রগুলি কী কী, তা অধ্যাদেশে স্পষ্ট করে এখনও জানানো হয়নি। ৩১ ডিসেম্বরের পরে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে সেই বিশেষ ক্ষেত্রগুলি সুনির্দিষ্ট করা হবে।