Police Personnel Suspended

তল্লাশির অছিলায় ব্যক্তির পকেটে মাদক লুকিয়ে দেওয়ার অভিযোগ! মুম্বইয়ের ঘটনায় নিলম্বিত চার পুলিশকর্মী

তল্লাশি চালানোর নামে এক ব্যক্তির পকেটে মাদকদ্রব্য গুঁজে দেওয়ার অভিযোগ পুলিশকর্মীদের বিরুদ্ধে। মুম্বইয়ের ওই ঘটনায় নিলম্বিত (সাসপেন্ড) করা হয়েছে এক সাব-ইনস্পেক্টর ও তিন কনস্টেবলকে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১১:৩০
Share:

(বাঁ দিকে) সিসিটিভি ফুটেজের দৃশ্য এবং সলমন খান অভিনীত ‘ওয়ান্টেড’ সিনেমার দৃশ্য (ডান দিকে) ছবি: সংগৃহীত।

ঠিক যেমনটা দেখা গিয়েছিল সলমন খান অভিনীত ‘ওয়ান্টেড’ ফিল্মে— তল্লাশির নামে ‘ইনস্পেক্টর তলপড়ে’ মাদক গুঁজে দিয়েছিলেন ‘রাধে’র প্যান্টের পকেটে। ভুয়ো মাদক মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা করেছিলেন। এ বার সেই দৃশ্যেরই পুনরাবৃত্তি। তবে সেলুলয়েডে নয়, বাস্তবে। ঘটনাস্থল মুম্বই।

Advertisement

তল্লাশি চালানোর নামে পুলিশকর্মীরা নিজেরাই এক ব্যক্তির প্যান্টের পিছনের পকেটে মাদকদ্রব্য ঢুকিয়ে দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। সেই ঘটনার তদন্তে এ বার অভিযুক্ত চার পুলিশকর্মীকে নিলম্বিত (সাসপেন্ড) করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে এক জন সাব-ইনস্পেক্টর ও তিন জন কনস্টেবল়। সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে মুম্বইয়ের ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (জ়োন একাদশ) রাজতিলক রোশন এই তথ্য দিয়েছেন।

ঘটনার দিনের একটি সিসিটিভি ফুটেজও প্রকাশ্যে এসেছে। যদিও ওই ফুটেজের সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন। ওই ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, একটি ঝুপড়ি গোছের জায়গায় এক ব্যক্তিকে তল্লাশি চালাচ্ছেন অপর দুই ব্যক্তি। কাছেই আরও দু’জন দাঁড়িয়ে ছিলেন। তল্লাশি চালানোর সময় এক ব্যক্তি নিজের প্যান্টের পিছনের পকেট থেকে কিছু একটি বার করে সেটি গুঁজে দেন যাঁকে তল্লাশি চালানো হচ্ছিল তাঁর পিছনের পকেটে। পরে ২০ গ্রাম মাদক-সহ আটক করা হয়েছিল তল্লাশি চালানো ওই ব্যক্তিকে। ভিডিয়োটি সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই শোরগোল পড়ে যায়।

Advertisement

বিষয়টি নজরে আসে মুম্বই পুলিশের। ঠিক কী ঘটেছিল, তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করে মুম্বই পুলিশও। পুলিশের তদন্ত নিশ্চিত হয়, ওই ব্যক্তিকে তল্লাশি চালানোর সময় যে চার জনকে ভাইরাল সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছিল তাঁরা প্রত্যেকেই পুলিশকর্মী। তাঁরা মুম্বইয়ের খার থানায় কর্মরত ছিলেন।

স্থানীয় সূত্রে খবর, তল্লাশি চালানোর সময় পকেটে মাদকদ্রব্য গুঁজে দেওয়ার যে অভিযোগটি উঠে এসেছে, সেই ঘটনাটি ঘটেছিল শুক্রবার সন্ধেয়। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে ওই ব্যক্তি দাবি করেছেন, তিনি নির্দোষ। পুলিশকর্মীরা প্রথমে তাঁকে মাদক মামলায় ফাঁসিয়ে দেবেন বলে ভয় দেখিয়েছিলেন। পরে যখন তাঁরা বুঝতে পারেন ঘটনাটি সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়ে গিয়েছে, তখন তাঁকে ছেড়ে দিয়েছিলেন।

সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে ডেপুটি পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, ওই চার পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে পদক্ষেপ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, “মাদক মামলা সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহের জন্য ওই চার পুলিশকর্মী সেখানে গিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁরা যা করেছেন, সব সিসিটিভিতে দেখা গিয়েছে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement