প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
ঝাড়খণ্ডে আবগারি দফতরের কনস্টেবল পদে শারীরিক সক্ষমতার পরীক্ষা চলছে বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে। কিন্তু সেই পরীক্ষার সময়েই পর পর বেশ কয়েক জন চাকরিপ্রার্থীর মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। কী কারণে চাকরিপ্রার্থীদের মৃত্যু হচ্ছে, তার কারণের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।
শনিবার ঝাড়খণ্ড পুলিশের তরফে এই ঘটনা প্রসঙ্গে একটি বিবৃতি জারি করা হয়েছে। সেখানে বেশ কয়েক জন চাকরিপ্রার্থীর মৃত্যুর কথা বলা হয়েছে। রাজ্যের সাতটি কেন্দ্রে শারীরিক সক্ষমতার পরীক্ষা চলছে। সেই কেন্দ্রগুলি হল— রাঁচী, গিরিডি, হাজারিবাগ, পলামু, পূর্ব সিংভূম এবং সাহেবগঞ্জ। ওই বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে, পরীক্ষা চলাকালীন দুর্ভাগ্যজনক ভাবে কয়েকটি কেন্দ্রে চাকরিপার্থীদের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। কী কারণে মৃত্যু হয়েছে তা জানার চেষ্টা চলছে।
রাজ্য পুলিশের তরফে আরও দাবি করা হয়েছে, কেন্দ্রগুলিতে সব রকম ব্যবস্থা ছিল। চিকিৎসক দল, প্রয়োজনীয় ওষুধ, অ্যাম্বুল্যান্স ইত্যাদি। কিন্তু তার পরেও কী ভাবে এই ঘটনা ঘটল, কোথাও গাফিলতি ছিল কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। রাজ্য বিজেপির সভাপতি বাবুলাল মারান্ডির অভিযোগ, সরকারের গাফিলতির কারণেই চাকরিপ্রার্থীদের মৃত্যু হয়েছে। তিনি এই ঘটনার বিচারবিভাগীয় তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। মারান্ডির দাবি, ১০ জন চাকরিপ্রার্থীর মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের পরিবারকে চাকরি এবং ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
মারান্ডির অভিযোগ, সারারাত ধরে চাকরিপ্রার্থীদের লাইনে দাঁড় করিয়ে রাখার পর সকালে প্রখর রোদের মধ্যে ছোটানো হয়েছে। শুধু তাই-ই নয়, পরীক্ষাকেন্দ্রগুলিতে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা ছিল না। তবে রাজ্যে বিজেপি সভাপতির সব অভিযোগকে নস্যাৎ করেছে পুলিশ।