করোনায় মৃত দুর্গেশ প্রসাদ (উপরে বাঁ দিকে) এবং তাঁর পরিবারের বাকি তিন সদস্য।
করোনায় মৃত্যু হয়েছে পরিবারের চার সদস্যের। ১২ দিনের মধ্যে বাবা, মা, দাদু, ঠাকুমাকে হারিয়ে অনাথ হল উত্তরপ্রদেশের দুই কিশোরী। গাজিয়াবাদের এই ঘটনায় এলাকার মানুষ দায়ী করেছেন চিকিৎসা পরিষেবার অব্যবস্থাকে। তাঁদের অভিযোগ সময়ে চিকিৎসা করানো গেলে বাঁচানো যেত পরিবারটিকে।
দুই কিশোরীর একজনের বয়স ৬। অন্যজন ৮ বছর বয়সি। তাদের আপাতত বরেলিতে তাঁদের কাকিমার বাড়িতে রাখা হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, গত এপ্রিলে প্রথম করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন ওই পরিবারের প্রবীণ সদস্য দুর্গেশ প্রসাদ। অবসরপ্রাপ্ত এই স্কুল শিক্ষক প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই নিভৃতবাসে যান। কিন্তু তারপরও একে একে সংক্রমিত হন তাঁর স্ত্রী, পুত্র এবং পুত্রবধূ। গত ২৭ এপ্রিল দুর্গেশ প্রসাদ মারা যান। ঠিক এক সপ্তাহ পরে মারা যান দুর্গেশের পুত্র অশ্বিনও। এরপর দুর্গেশের স্ত্রী এবং শেষে ৭ মে মারা যান দুর্গেশের পুত্রবধূও।
এই ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়। ক্ষোভ প্রকাশ করে স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, সরকারি চিকিৎসা পরিষেবার অভাবের কারণেই পরিবারটি এভাবে প্রাণ হারাল।