দিনেদুপুরে মুম্বইয়ে কোটি কোটি টাকা গয়নাগাঁটি লুট হয়েছে বলে দাবি করেছেন হায়দরাবাদের এক ব্যবসায়ী। —প্রতীকী ছবি।
দিল্লি পুলিশের পরিচয়পত্র দেখিয়ে মুম্বইয়ের রাস্তা থেকে তাঁদের নিজের গাড়িতে তুলে নিয়েছিলেন ৪ জন। এর পর নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে বেধড়ক মারধর করে তাঁদের কাছ থেকে প্রায় আড়াই কোটির সোনাদানা, হিরে, নগদ নিয়ে উধাও হয়ে যান। পুলিশের কাছে এমনই অভিযোগ করেছেন হায়দরাবাদের এক গয়না ব্যবসায়ী। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে ওই দুষ্কৃতীদের খোঁজে নেমেছে বলে জানিয়েছে মুম্বই পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, বুধবার একটি লাক্সারি বাসে করে মুম্বই এসেছিলেন হায়দরাবাদের গয়না ব্যবসায়ী সন্তোষ নরেডী। তাঁর সঙ্গে ছিলেন হরিনাম ঘাটিয়া নামে এক কারিগর। সায়ন থানা এলাকায় বিএ রোডের কাছে বাস থেকে নামেন তাঁরা। ব্যবসায়ীর দাবি, হায়দরাবাদ থেকে সোনাদানা এনে মুম্বইয়ের কারিগরদের দিয়ে গয়না তৈরি করেন তাঁরা। বুধবারও সে কাজেই মুম্বই এসেছিলেন। অভিযোগ, মুম্বইয়ের বান্দ্রা কুরলা কমপ্লেক্স এলাকায় যাওয়ার জন্য সেখান থেকে একটি গাড়িতে ওঠার সময় তাঁদের পথ আগলে দাঁড়ান ৪ জন। দিল্লি পুলিশের অপরাধদমন শাখার আধিকারিকের পরিচয়পত্র দেখিয়ে দু’জনকে তাঁদের গাড়িতে উঠতে বলেন। সন্তোষদের সঙ্গের গয়নাগাঁটি বেআইনি বলেও দাবি করেন ওই ৪ জন। গাড়িতে ওঠার পর মুম্বই-নাসিক জাতীয় সড়কে ভিবন্ডী এলাকায় একটি নির্জন জায়গায় নামিয়ে দেন সন্তোষদের। এর পর তাঁদের মারধর করে সেখান থেকে গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে যান ৪ জন। তাঁদের সঙ্গে থাকা মোবাইল, ২০টি সোনার বিস্কুট, ৫টি সোনা ও হিরের নেকলেস, ৩টি হিরের ব্রেসলেট, ২টি আংটি এবং ১টি সোনার চেন-সহ নগদ ২৭ লক্ষ টাকা নিয়ে চম্পট দেন। ব্যবসায়ীর দাবি, এ সবের মোট মূল্য ২ কোটি ৬২ লক্ষ টাকা। বুধবার রাতেই এই অভিযোগে সায়ন থানায় যান তিনি।
মুম্বই পুলিশের ডিসিপি (জ়োন ৪) প্রশান্ত কদম সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, প্রাথমিক তদন্তের পর জানা গিয়েছে, পুণে থেকেই ওই ব্যবসায়ী-সহ দু’জনের পিছুধাওয়া করেছিলেন ওই চার জন অভিযুক্ত। তাঁদের খোঁজে এলাকায় তল্লাশি শুরু করা হয়েছে।