—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
বাসে উঠেই বসে পড়েছিলেন মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত আসনে। তার উপর টিকিটও কাটতে চাননি। এ নিয়ে কন্ডাক্টর বলতে যেতেই তাঁকে ধরে ব্যাপক মারধরের অভিযোগ উঠল মেট্রো রেলের চার কর্মীর বিরুদ্ধে। মারের চোটে ওই বাস কন্ডাক্টরের কপালে পড়ল চারটে সেলাই। অভিযোগ পেয়ে অভিযুক্তদের এক জনকে আটক করেছে পুলিশ। ঘটনাস্থল মহারাষ্ট্রের পুণে।
একাধিক প্রতিবেদনে প্রকাশ, বুধবার পুণের শিবজিনগর থেকে একটি সরকারি বাসে উঠেছিলেন চার জন। তাঁরা প্রত্যেকে মেট্রো রেলের কর্মী। ওই বাসের কন্ডাক্টর মারুতি জমদাদের অভিযোগ, চার জন বাসে উঠেই মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত আসনে বসে পড়েন। তাঁদের বারণ করতেই তর্কাতর্কি শুরু করে দেন। তার পর গোল বাধে টিকিট কেনা নিয়ে। কন্ডাক্টর অভিযোগ করেছেন, চার জনের কেউই টিকিট কাটতে চাননি। মেট্রো রেলের কর্মী বলে নিজেদের পরিচয় দেন। অন্য দিকে, মারুতিও নাছোড় ছিলেন। শেষমেশ এক জন ১০ টাকা দিয়ে একটি টিকিট কেনেন। পরের গন্ডগোল স্টপেজে নামানো নিয়ে। কন্ডাক্টরের কথায়, ‘‘প্রথমে তো ওঁরা লেডিজ় সিটে বসলেন। বলতে যেতেই আমাকে মার মার করলেন। তার পর টিকিট কাটতে চাননি। আমি বলেছিলাম, ‘টিকিট না কাটতে চাইলে পরের স্টপেজে নেমে যান।’ তাতে আরও ঝামেলা শুরু করলেন ওঁরা।’’
অভিযোগ, তাঁদের গন্তব্য পর্যন্ত বাস নিয়ে যেতে হবে বলে জোরজবরদস্তি শুরু করেন চার জন। শুরু হয় ধমক-চমক। প্রতিবাদ করায় কন্ডাক্টরকে মারধর করা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, নিশাণ সিংহ নামে এক ব্যক্তি হাতের ব্রেসলেট দিয়ে কন্ডাক্টরকে আঘাত করেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে তিনি ঘাড় এবং মাথায় চোট পান। রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে গিয়েছেন। তার পর সেলাই পর্যন্ত করতে হয়েছে। বাসের অন্যান্য যাত্রী এক অভিযুক্তকে ধরে রাখেন। বাকি তিন জন বেগতিক দেখে পালিয়ে যান। অভিযুক্তকে আটক করা হয়েছে। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।