ফাইল চিত্র।
এক মাস আগেই হিমাচলপ্রদেশের সরকার ঘোষণা করেছিল রাজ্যের মানুষকে তারা বিনামূল্যে ১২৫ ইউনিট বিদ্যুৎ দেবে। সরকারি প্রকল্প কার্যকর হওয়ার এক মাস পর বিল আসতেই দেখা গেল চওড়া হাসি ফুটেছে তিনটি জেলার প্রায় সাড়ে চার লাখ পরিবারে। মাসভর বিদ্যুৎ ব্যবহারের পরও এঁদের প্রত্যেকেরই বিদ্যুতের বিল এসেছে শূন্য।
এর আগে হিমাচল সরকার ৬০ ইউনিট বিদ্যুতের বিলে ছাড় দেওয়ার ঘোষণা করেছিল। এপ্রিল মাস থেকেই চালু হয়েছিল সেই প্রকল্প। পরে রাজ্য সরকার আরও উদার হয়ে এই ছাড়ের পরিমাণ দ্বিগুণেরও বেশি বাড়িয়ে দেয়। জুলাই মাসে বিজেপি সরকার ঘোষণা করে তারা ১২৫ ইউনিট বিদ্যুৎ বিনামূল্যে দেবে রাজ্যবাসীকে। প্রথম দফার ঘোষণায় হিমাচলের দু’টি জেলা— কাংড়া এবং চাম্বায় আড়াই লক্ষ পরিবারকে বিদ্যুতের বিল দিতে হয়নি। দ্বিতীয় দফায় ওই দুই জেলার সঙ্গে আর একটি জেলা উনাতেও বিদ্যুতের বিল থেকে স্বস্তি পেয়েছে বহু পরিবার। প্রায় সাড়ে চার লক্ষ পরিবারের বিল গিয়েছে সরকারি খাতাতে। তবে যাঁরা ১২৫ ইউনিটের বেশি বিদ্যুৎ ব্যবহার করেছেন, তাঁদের নির্ধারিত ইউনিটের খরচ বাদ দিয়ে বাকি বিদ্যুতের খরচের বিল দিতে হয়েছে।
উল্লেখ্য, হিমাচলে ২০২২ সালের শেষেই বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে শাসক দল বিজেপি দু’দফায় বিদ্যুতের বিলে ছাড় দেওয়ার ঘোষণা করেছে। অন্য দিকে, হিমাচলে কংগ্রেসের নির্বাচনী পর্যবেক্ষক তথা ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন, কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে ৩০০ ইউনিট বিদ্যুৎ বিনামূল্যে দেওয়ার ব্যবস্থা করবে।
প্রসঙ্গত, পঞ্জাবের বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে আম আদমি পার্টি বিনামূল্যে বিদ্যুতের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। তখন অবশ্য বিজেপি অভিযোগ করেছিল বিদ্যুতের বিনিময়ে এ ভাবে ভোট টানা অনৈতিক।