প্রতীকী ছবি।
দিল্লি ৪৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ইলাহাবাদ ৪৮.৯ ডিগ্রি, উত্তরপ্রদেশের বান্দা ৪৯.২ ডিগ্রি। রাজস্থানের চুরু ইতিমধ্যেই ৫০ ডিগ্রি ছাপিয়ে গিয়েছে! চার শহরেই রেকর্ড তাপমাত্রা ছুঁয়েছে পারদ। প্রবল তাপপ্রবাহে জ্বলছে গোটা উত্তর ভারত। স্মরণকালের মধ্যে এ রকম ভয়াবহ গরম দেখেনি এ দেশ। প্রবল গরমে এ দিনই পরিস্থিতি
এমনই যে ট্রেনের কামরাতেও প্রাণ হারাচ্ছেন মানুষ।
মঙ্গলবার কেরল এক্সপ্রেসে চড়ে আগরা থেকে কোয়ম্বত্তূর যাওয়ার পথে উত্তরপ্রদেশের ঝাঁসিতে গরমের বলি হলেন দক্ষিণের চার পর্যটক। রেলের এক মুখপাত্র জানান, ট্রেনটি যখন ঝাঁসিতে ঢুকছে, তখন তাঁদের এক কর্মী ফোনে জানান যে, এক যাত্রী জ্ঞান হারিয়েছেন। চিকিৎসাকর্মীরা সেখানে পৌঁছে দেখেন, ইতিমধ্যেই তিন জন যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। পরে হাসপাতালে আরও এক জনের মৃত্যু হয়। ঝাঁসিতে এখন তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সংবাদমাধ্যমের কাছে ওই ট্রেনের এক যাত্রী জানান, আগরা ছাড়ার পর থেকেই গরম যেন অসহ্য হয়ে উঠছিল। প্রবল গরমে অনেকের শ্বাসকষ্টও শুরু হয়। তার মধ্যেই কয়েক জনের অবস্থা খারাপ হতে থাকে। কারও কাছে সাহায্য চাওয়ার আগেই তাঁরা জ্ঞান হারান। মৃতদের মধ্যে এক জনের বয়স ৮১ বছর। ইতিমধ্যেই প্রবল তাপপ্রবাহে গোটা দেশে বেশ কিছু মৃত্যুর খবর মিলেছে। মহারাষ্ট্রের যবৎমলে আধ-শুকনো কুয়ো থেকে জল তুলতে গিয়ে পড়ে মারা গিয়েছেন মাঝবয়সি এক মহিলা।
তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রি ছাড়ালেই তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হয়। তাপমাত্রা ৪৭ ডিগ্রি ছুঁয়ে ফেললে ‘তীব্র’ গরম আখ্যা দেওয়া হয়। সেখানে চুরুর তাপমাত্রা গত সপ্তাহেই ৫০ ডিগ্রি ছুঁয়ে ফেলেছে। যা স্বাভাবিকের চেয়ে আট ডিগ্রি বেশি।
আবহাওয়াবিজ্ঞানীদের একাংশের মতে, গ্রীষ্মে এই পরিস্থিতি ক্রমশ যেন ‘স্বাভাবিক’ হয়ে উঠছে। গত কয়েক বছরে দেশের নানা প্রান্তে তাপপ্রবাহের ঘটনা লাফিয়ে বেড়েছে। গত সপ্তাহের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বিশ্বের সবচেয়ে ‘গরম’ ১৫টি জায়গার মধ্যে ভারতেরই ১১টি জায়গা রয়েছে। গত বছর স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন লোকসভায় জানিয়েছিলেন, ২০১০ থেকে শুরু করে তাপপ্রবাহের জেরে এ দেশে প্রাণ হারিয়েছেন কমপক্ষে ছ’হাজার মানুষ।
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের YouTube Channel - এ।