গুলিবিদ্ধ বিজেপি নেতা আবদুল হামিদ নজর। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া
সকালে বিজেপি নেতাকে গুলি করে হত্যার চেষ্টা জঙ্গিদের। আর বিকেলেই দল ছাড়ার হিড়িক বিজেপি নেতাদের মধ্যে। জম্মু কাশ্মীরের বদগামে ইতিমধ্যেই চার জন নেতা দল ছাড়ার কথা ঘোষণা করেছেন। আরও অনেকেই দল ছাড়তে পারেন বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। যদিও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু-কাশ্মীরের বিজেপি সভাপতি এই ঘটনাকে পাকিস্তানের হতাশার ফল বলে চিহ্নিত করেছেন। হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, ওই নেতার উপর হামলাকারীদের কাউকে ছাড়া হবে না।
রবিবার সকালে বদগাম রেলস্টেশনের কাছে স্থানীয় বিজেপি নেতা আবদুল হামিদ নজরকে গুলি করে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। মহিন্দপুরা গ্রামের বাসিন্দা নজর মর্নিং ওয়াকে বেরিয়েছিলেন। তিনি বদগাম জেলার ওবিসি শাখার জেলা সভাপতি। জঙ্গিরা গুলি করার পর আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে শ্রীনগরের এসএমএইচএস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তাঁর চিকিৎসা চলছে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, নজরের অবস্থা স্থিতিশীল।
এই নিয়ে গত এক সপ্তাহে উপত্যকার তিন জন বিজেপি নেতার উপর হামলা চালাল জঙ্গিরা।এর আগে কুলগাম জেলায় এক বিজেপি নেতাকে গুলি করে হত্যা করে জঙ্গিরা। অন্য এক বিজেপি নেতার উপরেও হামলা হয়েছিল কুলগামে। এখনও তিনি চিকিৎসাধীন।
পর পর এই হামলার ঘটনায় স্বাভাবিক ভাবেই উপত্যকার বিজেপি নেতাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। সেই আতঙ্কেই দল ছাড়তে শুরু করেছেন বিজেপি নেতারা। রবিবার বিকেলেই দল ছাড়ার ঘোষণা করেছেন স্থানীয় চার নেতা। তাঁদের মধ্যে অন্যতম দলের বদগামের সাধারণ সম্পাদক। তাঁরা ঘোষণা করেছেন, বিজেপির সঙ্গে আর কোনও সম্পর্ক রাখবেন না তাঁরা।
তবে জম্মু-কাশ্মীরের বিজেপির রাজ্য সভাপতি রবীন্দ্র রায়না এই ঘটনাকে কাপুরুষোচিত বলে বর্ণনা করে বলছেন, ‘‘উপত্যকায় বিজেপি নেতাদের উপর হামলার ঘটনা বেড়ে যাওয়ার ঘটনা আসলে পাকিস্তানের হতাশার বহিঃপ্রকাশ।’’ তবে এই ধরনের হামলার কাছে যে তাঁরা নতি স্বীকার করবেন না, সেই বার্তাও দিয়েছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি। তিনি বলেন, ‘‘উপত্যকায় বিজেপির জনপ্রিয়তা এ ভাবে কমাতে পারবে না পাকিস্তান।’’
আরও পড়ুন: রাজস্থানে পাক হিন্দু শরণার্থী পরিবারে রহস্যমৃত্যু, ঘর থেকে উদ্ধার ১১ দেহ
আরও পড়ুন: লক্ষ্য আত্মনির্ভরতা, ১০১ প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা কেন্দ্রের
একই সঙ্গে রবীন্দ্র রায়নার হুঁশিয়ারি, এই বর্বরোচিত হামলায় যাঁরা যুক্ত, তাঁর আগেও মৃত্যু থেকে বাঁচতে পারেনি, ভবিষ্যতেও প্রাণ রক্ষা করতে পারবে না। কাশ্মীরকে জঙ্গিদের মুক্তাঞ্চল হতে দেব না এবং জঙ্গিমুক্ত করব আমরা।’’ তিনি আরও যোগ করেন, ‘‘উপত্যকার মানুষ জানেন, জঙ্গি ও বিচ্ছিন্নতাবাদীরা গত ৩০ বছর ধরে পাকিস্তানের প্ররোচনায় নিরীহ মানুষকে হত্যা করে এবং গোটা অঞ্চলকে শেষ করে দিয়েছে।’’