তালিকায় যুক্ত হল আরও চার জন।
সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরে দেশের বিভিন্ন জেলে ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত আসামির সংখ্যা ছিল ৩২৫ জন। আজ নির্ভয়া কাণ্ডে সুপ্রিম কোর্ট অপরাধীদের মৃত্যুদণ্ডের সাজা বহাল রাখায় ওই সংখ্যা ৩২৯ ছুঁল। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছে, আইনি জটিলতা শেষ হলেই দ্রুত ওই ফাঁসির আদেশগুলি কার্যকর হবে।
ভারতে গত কয়েক বছরে ফাঁসির সিদ্ধান্ত কার্যকর করার হার বৃদ্ধি পেয়েছে বলে সমালোচনায় সরব রয়েছে বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন। গত পাঁচ বছরে তুলনামূলক ভাবে কমেছে রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে ফাঁসির আসামির সাজা মুকুব করার ঘটনা। গত পাঁচ বছরে রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় মাত্র চার জন ফাঁসির আসামির সাজা মুকুব করেছেন। সেখানে প্রাণভিক্ষার আবেদন খারিজ হয়েছে ২৮টি। যে তালিকায় রয়েছে, আজমল কসাব, আফজল গুরু বা ইয়াকুব মেমনরা। রাষ্ট্রপতির সচিবালয় সূত্রে বলা হয়েছে, এই মুহূর্তে কোনও প্রাণভিক্ষার আবেদন পড়ে নেই প্রণববাবুর টেবিলে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছে, রাজ্যগুলির মধ্যে ফাঁসির আসামির সংখ্যা সব থেকে বেশি উত্তরপ্রদেশে। সেখানে ৬৮ জন রয়েছেন যাদের ফাঁসির আদেশ দিয়েছে আদালত। পশ্চিমবঙ্গে এ রকম আসামির সংখ্যা ৬ জন। ফাঁসির আসামিরা রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণ ভিক্ষার আবেদন করতে পারেন। তবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সঙ্গে পরামর্শ করেই প্রাণ ভিক্ষার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেন রাষ্ট্রপতি।
আরও পড়ুন:ফাঁসিতেও কি কমবে অপরাধ, প্রশ্ন সব স্তরে