প্রতীকী ছবি।
৮ বছরের নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে গুজরাতের এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে মধ্যপ্রদেশের ভোপালের পুলিশ। শনিবার দুপুর ১টা নাগাদ ভোপালের অযোধ্যানগর থানা এলাকায় ঘটেছে এই ঘটনা। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ নম্বর ধারা এবং পকসো আইনে পুলিশ মামলা দায়ের করেছে ৩২ বছরের ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে।
পুলিশ জানিয়েছে, ৮ বছরের নাবালিকা শনিবার দুপুরে নিজের বাড়ির সামনে খেলছিল। সে সময়ই কালো টি-শার্ট পরে সেখানে আসে ওই দাড়িওয়ালা ব্যক্তি। ওই নাবালিকাকে নিকটবর্তী দোকান থেকে গুটখার প্যাকেট কিনে আনতে বলে। দোকান থেকে গুটখা কিনে ফেরার সময় পুরসভার বিশালাকার পাত্রের পাশে এক ব্যক্তিকে তা দেওয়ার জন্য মেয়েটিকে বলে অভিযুক্ত। সেখানে যেতেই ওই পাত্রের মধ্যে তাকে ঠেলে ফেলে দেয় সে। সেখানেই নাবালিকাকে ধর্ষণ করে অভিযুক্ত পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ।
এই ঘটনার পর থেকেই মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ওই নাবালিকা। এখনও ঘটনার অভিঘাত কাটিয়ে উঠতে পারেনি সে। ঘটনার কথা দিদিমাকে জানিয়েছিল মেয়েটি। এর পর নির্যাতিতার দিদিমা পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন। তার পরই ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ। অভিযুক্তকে ধরার জন্য গঠন করা হয় ৮টি দল।। অযোধ্যানগর এলাকায় সে দিন দেখা গিয়েছিল, এমন ৪০ জন সন্দেহভাজন আগন্তুকের ছবিও ছাপানো হয়েছিল। এ নিয়ে ভোপাল পুলিশের এক আধিকারিক বলেছেন, ‘‘৪০টি ছবির মধ্যে অভিযুক্তকে চিহ্নিত করে নির্যাতিতা। অভিযুক্ত ব্যক্তির বয়স ৩২ বছর। সে ভোপালেই থাকত। যদিও তার বাড়ি গুজরাতে। ধর্ষণের পর সে গুজরাত পালিয়ে যাওয়ার ছক কষেছিল। কিন্তু রবিবার ভোপালে লকডাউন চলায় সেই পরিকল্পনা সফল হয়নি।’’ পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তি বিবাহিত। কিন্তু বছর খানেক আগে স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে গিয়েছেন।