ভারতীয় রেল। ফাইল চিত্র।
দেশের রেল ব্যবস্থাকে বুলেট জমানায় পৌঁছে দেওয়ার কথা বলছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্রর মোদী। কিন্তু বাস্তবটা যে অন্য, তা সরকারি রিপোর্টে স্পষ্ট হয়ে গেল।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, নিয়মানুবর্তিতায় গত তিন বছরের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছে ভারতীয় রেল। প্রায় ৩০ শতাংশ ট্রেন ‘লেট’-এ চলছে।
তথ্য অনুযায়ী, ২০১৫-১৬ আর্থিক বছরে দেশের ৭৭.৪৪ শতাংশ মেল ও এক্সপ্রেস ট্রেন চলেছিল ঠিক সময়ে। পরের বছর তা সামান্য কমে দাঁড়ায় ৭৬.৬৯ শতাংশ। কিন্তু ২০১৭ সালের এপ্রিল থেকে ২০১৮ সালের মার্চ পর্যন্ত তা হয়েছে ৭১.৩৯ শতাংশ। অর্থাত্ আগের বছরের তুলনায় ৫.৩০শতাংশ কম।
প্রশ্ন উঠছে, রেল ব্যবস্থায় বাড়তি গতি আনতে যখন হাই স্পিড ট্রেন আনা হচ্ছে, তখন বাকি ট্রেন কেন এতটা ‘লেট লতিফ’? দেশের বেশিরভাগ মানুষ তো দূরের যাত্রার জন্য প্যাসেঞ্জার কিংবা মেল ট্রেনের উপর নির্ভরশীল। যদিও সুরক্ষা এবং মেরামতির কারণ দেখিয়ে বিষযটিকে লঘু করার চেষ্টা চালিয়েছে রেল মন্ত্রক।
পরিসংখ্যান দেখিয়ে তাদের দাবি, ট্রেন দু্র্ঘটনা এড়ানোর জন্য বিভিন্ন জায়গায রক্ষণাবেক্ষণের কাজ চলছে। ২০১৬-১৭ আর্থিক বছরে কাজ হয়েছিল ২ হাজার ৬৮৭টি জায়গায়।গত আর্থিক বছরে তা বেড়ে হয়েছে ৪ হাজার ৪২৬। ট্রেন লাইনে কাজ চলায় গতি যে মাঝে মধ্যে থমকে যাচ্ছে, তা রেলকর্তারা স্বীকার করে নিয়েছেন। জানা গিয়েছে, ‘ট্রেন লেট’ যে ভাবে বেড়ে চলেছে, তাতে নাকি রেল বোর্ডের চেয়ারম্যান অশ্বিনী লোহানি অসন্তুষ্ট। তাঁর মতে, এরকম ঘটনা রেল মন্ত্রককে অস্বস্তির মুখে ফেলছে। ট্রেনের নিয়মানুবর্তিতা ফেরানোর জন্য তিনি ১৫ দিনের বিশেষ অভিযানে নামার নির্দেশ দিয়েছেন।