National News

দেশের ৩০ শতাংশ ড্রাইভিং লাইসেন্সই ভুয়ো! জানালেন গডকড়ী

আইনের কড়া নজর সত্ত্বেও তার ফাঁক গলে বেরিয়ে যাচ্ছেন ভুয়ো লাইসেন্সধারীরা। এমনটাই জানালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিতিন গডকড়ী।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০২ এপ্রিল ২০১৭ ১৮:১১
Share:

ছবি: সংগৃহীত।

আইনের কড়া নজর সত্ত্বেও তার ফাঁক গলে বেরিয়ে যাচ্ছেন ভুয়ো লাইসেন্সধারীরা। এমনটাই জানালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিতিন গডকড়ী।

Advertisement

গত শনিবার নাগপুরে একটি অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রী নিতিন গডকড়ী বলেন, “দেশের ৩০ শতাংশ ড্রাইভিং লাইসেন্সই ভুয়ো।” কী ভাবে ভুয়ো লাইসেন্সের রমরমা রোখা যাবে? গডকড়ীর দাওয়াই, ডিজিটাল প্রযুক্তির হাত ধরেই এই রোগের ওষুধ খুঁজতে হবে। তিনি বলেন, “এখন থেকে দেশের সমস্ত ড্রাইভিং লাইসেন্সই ডিজিটাল মাধ্যমে নথিবদ্ধ করা হবে।” তিনি আরও জানিয়েছেন, ই-গভর্ন্যান্সের অঙ্গ হিসাবে গোটা প্রক্রিয়াটাই একছাতার তলায় আনা হবে। এক ব্যক্তির একাধিক লাইসেন্স ছাড়াও মূলত অপরাধ রুখতেই এ ব্যবস্থা করবে কেন্দ্র।

আরও পড়ুন

Advertisement

শরীরী ভাষায় আসে খদ্দের, স্টেশনেই চলে দেহ ব্যবসা!

গত মাসেই মন্ত্রকের এক কর্তা জানিয়েছিলেন, ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে হলে বা তা নবীকরণে আধার নম্বর থাকাটা বাধ্যতামূলক করতে চায় কেন্দ্র। আগামী অক্টোবর থেকেই এই ব্যবস্থা চালুর তোড়জোড়ও শুরু হয়েছে। শনিবার গডকড়ী আরও এক ধাপ এগিয়ে জানান, চালকের পরীক্ষায় উতরোতে পারলেই মাত্র তিন দিনেই হাতে মিলবে ড্রাইভিং লাইসেন্স। শীঘ্রই প্রতিটি রাজ্যের রিজিওনাল ট্রান্সপোর্ট অফিস (আরটিও)-কে বাধ্যতামূলক ভাবে সে ব্যবস্থা চালু করার নির্দেশ দেওয়া হবে বলে তিনি জানান। এমনকী, যে আরটিও সে নির্দেশ মানবে না তার বিরুদ্ধেও কড়া পদক্ষেপ করবে কেন্দ্র। পাশাপাশি, সড়ক পরিবহণ মন্ত্রী জানিয়েছেন, ড্রাইভিংয়ের পরীক্ষা নেওয়ার জন্য দেশ জুড়ে ২৮ হাজার কেন্দ্র খোলা হয়েছে। আরও দু’হাজার পরীক্ষাকেন্দ্র খোলা হবে।

অপরাধের পাশাপাশি সড়ক দুর্ঘটনা কমাতেও উদ্যোগী হয়েছে কেন্দ্র। সে কারণে ট্র্যাফিক সিগনালের আধুনিকীকরণও করা হবে। গডকড়ীর দাবি, “দুর্ঘটনার জেরে মৃত্যুর মতো ৫০ শতাংশ ঘটনার পিছনে রয়েছে রোড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের গাফিলতি।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement