কোভিড টিকাকেন্দ্রে দীর্ঘ লাইন। ছবি—পিটিআই।
টিকাকরণের ব্যাপারে লক্ষ্যমাত্রা থেকে অনেক দূরে ভারত সরকার, অন্তত এমনটাই বলছে সরকারি পরিসংখ্যান। ২৭ কোটি বয়স্ক নাগরিক, ২ কোটি প্রথম সারির যোদ্ধা, ১ কোটি স্বাস্থ্যকর্মী— এই ৩০ কোটিকে করোনা টিকার দু’টি ডোজ দেওয়ার ব্যাপারে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল কেন্দ্রের তরফে। পরিসংখ্যান বলছে, এখনও অবধি এই লক্ষ্যমাত্রার ১০ শতাংশেও পৌঁছনো যায়নি।
এই ৩০ কোটির মধ্যে টিকার দু’টি ডোজ পেয়েছেন মাত্র ২ কোটি ৯২ লক্ষ ৯ হাজার ৮৮৫ জন। এর মধ্যে রয়েছেন ৬৪ লক্ষ ৭১ হাজার স্বাস্থ্যকর্মী, ৭৭ লক্ষ ৫৫ হাজার প্রথম সারির যোদ্ধা এবং ১ কোটি ৪৯ লক্ষ বয়স্ক নাগরিক। এ ছাড়াও ৪৫ থেকে ৬০ বছর বয়সী ৬৫ লক্ষ ৬১ হাজার জন টিকার দু’টির ডোজই পেয়েছেন। যদিও তাঁরা অগ্রাধিকার দলের মধ্যে পড়েন না। এখনও পর্যন্ত সব মিলিয়ে ৩ কোটি ৫৭ লক্ষ জন দেশে কোভিড টিকার দু’টি ডোজই পেয়েছেন।
দেশে কোভিডের টিকাকরণ শুরু হয়েছে ১১৪ দিন। এখনও অবধি দেশে টিকার মোট ডোজ দেওয়া হয়েছে ১৭ কোটির বেশি। সোমবার কেন্দ্র একটি টুইটে জানিয়েছেন, ১৭ কোটি ডোজ বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে কম সময়ে দিতে পেরেছে ভারত। চিনের লেগেছে ১১৯ দিন, আমেরিকার ১১৫ দিন। সেখানে ভারতের ১১৪ দিন।
কিন্তু বর্তমানে দেশের বিভিন্ন রাজ্য থেকেই টিকার ঘাটতির অভিযোগ উঠেছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যানও বলছে, গত কয়েক সপ্তাহে দেশে টিকাকরণের গতি কমেছে। ল্যানসেট জার্নালে প্রকাশিত প্রতিবেদন জানাচ্ছে, ভারতের মোট জনসংখ্যার ২ শতাংশও এখনও টিকা পাননি। এ ভাবে চলতে থাকলে জুলাইয়ের মধ্যে অগ্রাধিকার পাওয়া ৩০ কোটিকে টিকার দু’টি ডোজ দেওয়া প্রায় অসম্ভব বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশ।