চাষের খেতে কূপে পড়ে গেল শিশু, চলছে উদ্ধারকাজ। ছবি: সংগৃহীত।
খেলতে খেলতে ৪০ ফুট গভীর কূপে পড়ে গেল তিন বছরের শিশু। বিহারের নালন্দায় যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শুরু হয়েছে উদ্ধারকাজ। পুলিশের পাশাপাশি ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী এবং দমকল।
সকালে ঘুম থেকে উঠে ক্ষেতময় দৌড়ে বেড়াচ্ছিল তিন বছরের ছোট্ট শিবম। পাশেই কাজ করছিল তার মা। আচমকাই শিবমের বন্ধুদের চিৎকার শুনে ছুটে এসে তিনি দেখেন, ক্ষেতের পাশেই তৈরি করা পরিত্যক্ত ৪০ ফুটের কূপে পড়ে গিয়েছে ছেলে। খবর যায় পুলিশে। চলে আসে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। শুরু হয় উদ্ধারের কাজ। গর্তের ভিতরে শিশুটির যাতে অক্সিজেনের অভাব না হয়, সে জন্য কৃত্রিম উপায়ে অক্সিজেন পাঠানোর ব্যবস্থাও প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে।
এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, ‘‘আমরা খবর পাই, একটি বাচ্চা বোরওয়েলে পড়ে গিয়েছে। শিশুটিকে উদ্ধার করার চেষ্টা করছি। বাচ্চাটি এখনও বেঁচে আছে। আমরা তার গলার আওয়াজও পাচ্ছি।’’ বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর এক কর্তা বলেন, ‘‘গোটা এলাকা ঘিরে ফেলা হয়েছে। চিকিৎসকদের একটি দল অক্সিজেন নিয়ে প্রস্তুত আছে।’’
স্থানীয় সূত্রে খবর, কয়েক বছর আগে এলাকারই এক কৃষক ওই কূপটি খোঁড়েন। কিন্তু কাজ হয়ে যাওয়ার পরেও তা মাটি দিয়ে বুজিয়ে দেননি। ফলে গর্ত হয়েই পড়েছিল তা। খেলতে গিয়ে অসাবধানতাবশত সেই গর্তে পড়ে যায় শিশুটি।
ভারতে চাষের কাজে জলের প্রয়োজনে কূপ খোঁড়ার চল বহু প্রাচীন। অনেক ক্ষেত্রেই কূপে পড়ে যাওয়ার ঘটনাও ঘটে চলেছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে শিশুরাই কূপে পড়ে। অতি সম্প্রতি মধ্যপ্রদেশের বিদিশা জেলায় একটি শিশুকন্যা এ ভাবেই কূপে পড়ে যায়। দীর্ঘ ক্ষণ পর তাকে উদ্ধার করা সম্ভব হলেও হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। গত ৬ জুন, মধ্যপ্রদেশেরই সেহোর জেলায় একটি আড়াই বছরের শিশু ৩০০ ফুট গভীর কূপে পড়ে যায়। তাকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। জানা যায়, দম আটকেই মৃত্যু হয়েছে তার।