প্রতীকী ছবি।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহের জম্মু-কাশ্মীর সফরের সময়ে ভুয়ো সংঘর্ষে তিন শ্রমিককে খুন করার অভিযোগ উঠল সেনা ও পুলিশের যৌথ বাহিনীর বিরুদ্ধে।
রাজনাথের কাশ্মীর সফর চলাকালীনই ১৮ জুলাই শোপিয়ানের আমশিপোরায় একটি সংঘর্ষে তিন জঙ্গি নিহত হয়েছে বলে দাবি করে পুলিশ। তবে সেই জঙ্গিদের শনাক্ত করা হয়নি। পুলিশ পরে জানায়, নিহত জঙ্গিদের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহের পরে নিয়ম মেনে বারামুলায় তাদের শেষকৃত্য করা হয়েছে। নিহতদের পরিবারের কেউ চাইলে তাদের শনাক্তকরণে সাহায্য করতে পারেন বলেও জানিয়েছিল পুলিশ। আজ সকাল থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ কয়েকটি পোস্টে দাবি করা হয়, রাজৌরির বাসিন্দা তিন শ্রমিককে ১৮ জুলাই ভুয়ো সংঘর্ষে খুন করেছে সেনা ও পুলিশ।
এর পরে রাজৌরির কোট্রাঙ্কায় ধার সাকরি গ্রামের বাসিন্দা বছর ছাব্বিশের সবর হুসেন, বছর আঠারোর ইবরার আহমেদ ও বছর একুশের ইবরার আহমেদের পরিবার দাবি করে, রাজৌরিতে ওই তিন জনই নিহত হয়েছে। ওই তিন জনের পরিবারের দাবি, সংঘর্ষের পরে নিহতদের যে ছবি পুলিশ প্রকাশ করেছে তা দেখেই তারা ওই তিন জনকে শনাক্ত করেছেন।
ধার সাকরির বাসিন্দা লাল হুসেনের সঙ্গে তিন পরিবারেরই আত্মীয়তা রয়েছে। তাঁর দাবি, ‘‘কাজের খোঁজে ওরা রাজৌরি থেকে শোপিয়ানে গিয়েছিল। ১৭ জুলাই বাড়িতে ফোন করে জানিয়েছিল, একটা ঘর ভাড়া নিয়েছে। তার পরে আর ওদের খোঁজ পাওয়া যায়নি।’’
কয়েক দিন আগে কোট্রাঙ্কা থানায় একটি এফআইআর করেছে তিন যুবকের পরিবার বলেছে, ওই তিন যুবক ‘নিখোঁজ’। কিন্তু এত দিন পরে কেন নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ? লাল হুসেনের বক্তব্য, ‘‘কাশ্মীরে অনেক সময়েই ফোনে যোগাযোগ কঠিন হয়। ভেবেছিলাম ওরা যোগাযোগ করতে পারছে না। কিন্তু কিছু দিন কেটে যাওয়ায় থানায় অভিযোগ করি।’’ কোট্রাঙ্কা থানার ওসি মুস্তাজ আহমেদ জানান, ওই অভিযোগের তদন্ত শুরু হয়েছে। সেনা মুখপাত্র রাজেশ কালিয়া জানান, সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্ট তাঁদের নজরে এসেছে। ১৮ জুলাইয়ের সংঘর্ষ নিয়ে সেনা তদন্ত শুরু করেছে।