— প্রতীকী ছবি।
চায়ের দোকানে ঢুকেই জল দিতে বলেছিলেন। কিন্তু জল দিতে দেরি হওয়ায় রাগে দোকানের কর্মীকে কুপিয়ে খুন করেন চার জন। চার বছর বাদে বিহারের শেখপুরার আদালত তিন জনকে সেই মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে। ঘটনার মূল অভিযুক্ত এখনও পলাতক।
শেখপুরার মেহুস এলাকার একটি চায়ের দোকানে কাজ করতেন ধর্মেন্দ্র কুমার। ২০১৯ সালের ২১ মে সেই দোকানে চা খেতে আসেন হরিওম কুমার, সন্তোষ কুমার, রাহুল কুমার এবং মুন্ডা কুমার। দোকানে ঢুকেই তাঁরা জল চান। জল দেওয়ার ভার ছিল ধর্মেন্দ্রের উপর। অভিযোগ, জল দিতে দেরি হওয়ায় রেগে যান তাঁরা। ধর্মেন্দ্র জল নিয়ে আসতেই তাঁর উপর চড়াও হন হরিওম। চাকু দিয়ে বার বার ধর্মেন্দ্রের পেটে আঘাত করা হয়। এ কাজে হরিওমকে সাহায্য করেন বাকি তিন জন।
রক্তাক্ত অবস্থায় ধর্মেন্দ্রকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালের বিছানায় শুয়েই চার জনের নাম পুলিশের কাছে জানান ২২ বছরের যুবক। পরে ওই হাসপাতালেই তাঁর মৃত্যু হয়। চার জনের নামে খুনের মামলা রুজু করে পুলিশ। জানা যায়, আগেও অপরাধের ইতিহাস রয়েছে প্রত্যেকেরই। পুলিশ সন্তোষ কুমার, রাহুল কুমার এবং মুন্ডা কুমারকে গ্রেফতার করতে পারলেও হরিওম বেপাত্তা।
সেই মামলাতেই শেখপুরার আদালত তিন জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে। এর পাশাপাশি তিন জনকেই ধর্মেন্দ্রের পরিবারকে ৫০ হাজার টাকা করে দিতেও নির্দেশ দিয়েছে কোর্ট। কিন্তু মূল অভিযুক্ত হরিওম এখনও নিখোঁজ।