জঙ্গলে চোরাশিকার রুখতে ড্রোন ব্যবহারের ‘সবুজ সঙ্কেত’ মিলল। এ বার কাজিরাঙার পাশাপাশি উত্তর-পূর্বের ১৩টি ব্যাঘ্র প্রকল্পেও নজর রাখবে চালকহীন ওই বিমান।
২০১৩ সালে চোরাশিকার রুখতে কাজিরাঙায় প্রথম বার ড্রোনে নজরদারির প্রস্তাব এসেছিল। পরীক্ষামূলক ভাবে তা ব্যবহারও করা হয়। কিন্তু স্বরাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের আপত্তিতে ড্রোনের উড়ান শেষ পর্যন্ত বাস্তবায়িত হয়নি। জাতীয় ব্যাঘ্র সংরক্ষণ কর্তৃপক্ষ এনটিসিএ সদস্য সচিব বি এস বনসল জানিয়েছেন, সে সব জটিলতা কেটেছে। আপাতত তিন বছরের জন্য ড্রোনের উড়ান চলবে জঙ্গলে। এনটিসিএ ও দেহরাদূনের ওয়াইল্ড লাইফ ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া (ডব্লুআইআই) তার তদারকি করবে।
এর আগে উত্তর-পূর্ব স্পেস অ্যাপ্লিকেশন সেন্টার (নেস্যাক) মরিগাঁও জেলায় বড়ো ধানের উপরে পঙ্গপালের আক্রমণে নজরদারি চালাতে চিনের ড্রোন ব্যবহার করে। পরে তা মেঘালয়েও ব্যবহার করা হয়। নেস্যাক দু’টি চিনে তৈরি ইনস্পায়ার-১ পর্যায়ের ড্রোন ব্যবহার করেছিল। মরিগাঁও জেলা নারামারি, মিকিরভেটা, ভুরবাঁন্ধা ও জালুগুটি এলাকায় তা দিয়ে নজরদারি চলে।
কাজিরাঙার ক্ষেত্রে আপাতত প্রাথমিক পর্যায়ে ড্রোন ওড়ানো হবে। চলবে বনরক্ষীদের প্রশিক্ষণ। অরণ্যের চরিত্র পরীক্ষা করে ড্রোনেও অদল-বদল করা হতে পারে।
কাজিরাঙার উদ্যান অধিকর্তা সত্যেন্দ্র সিংহ জানান, কাজিরাঙা কর্তৃপক্ষের হাতে ইতিমধ্যে পুরনো মডেলের একটি ড্রোন ছিল। এ বার উন্নত ড্রোন হাতে পেলে নজরদারিতে সুবিধা হবে। কাজিরাঙায় নজরদারি চালাতে ৫-৬টি ড্রোন দরকার হবে। সব মন্ত্রকের অনুমতি পাওয়ায় নিজেদের প্রয়োজন মতো সেগুলি ব্যবহার করা হবে। বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা থেকে সে জন্য টাকা জোগাড় করা যেতে পারে। তিনি আরও জানিয়েছেন, কাজিরাঙায় অনেকটা খোলা তৃণভূমি থাকায় ড্রোনের নজরদারিতে সুবিধা হবে। পাশাপাশি অরুণাচলের নামদাফা ব্যাঘ্র অরণ্যের দুর্গম এলাকায় মানুষের নজর পৌঁছবে।
অন্য দিকে, বরাকে আলফার থেকে অনেক বেশি সক্রিয় বাংলাদেশের জেএমবি জঙ্গিরা— প্রজাতন্ত্র দিবসের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে এই মন্তব্য করেন করিমগঞ্জের পুলিশ সুপার প্রদীপ রঞ্জন কর। অরুণাচলের পার্শ্ববর্তী জাগুনে আলফা সেনাবাহিনীর গাড়িতে হামলা করেছিল। এর প্রেক্ষিতে অসমের সর্বত্রই সতর্কতা জারি করা হয়েছে। কিন্তু বরাকের করিমগঞ্জ জেলার পরিস্থিতি তার চাইতে পৃথক বলেই পুলিশ সুপার মনে করেন। তিনি বলেন, ‘‘বরাকে আলফার সক্রিয়তা খুব একটা নেই বললেই চলে। কিন্তু বরাকে সক্রিয় জেএমবি সদস্যরা।’’ এসপি জানান, পুলিশ ও বিএসএফ সক্রিয়। নিরাপত্তা নিয়ে জেলা পর্যায়ে বৈঠকও করা হয়েছে।
শুরু সড়ক মেরামতি। মোবারকপুর থেকে চরগোলা পর্যন্ত জাতীয় সড়কের অবস্থা ভয়াবহ। কয়েকবার সেই অংশে মেরামতি করা হলেও কাজ অতি নিম্নমানের হওয়ায় তা দীর্ঘ দিন স্থায়ী হয়নি। অবশেষে আগামী কাল ওই অংশে রাস্তার কাজের শিলান্যাস করবেন পূর্তমন্ত্রী পরিমল শুক্লবৈদ্য। অনুষ্ঠানে জেলার সাংসদ-বিধায়করা উপস্থিত থাকবেন বলে পূর্তবিভাগের কর্তারা জানিয়েছেন। উল্লেখ্য, ওই রাস্তা মেরামতির জন্য অন্তত তিন বার দরপত্র আহ্বান করা হয়েছিল। কিন্তু নানা সমস্যা দেখা দেওয়ায় বার বার দরপত্রগুলি বাতিল হয়ে যায়।