ছবি: রয়টার্স।
প্রতিটি আধার এনরোলমেন্ট সেন্টারে নথি পরীক্ষার জন্য এক জন সরকারি কর্মী থাকেন৷ যে বেসরকারি সংস্থাকে ওই কাজ ‘আউটসোর্স’ করা হয়েছে তাদের দু’জন কর্মী থাকেন৷ নথিপত্র পরীক্ষার পরে বায়োমেট্রিকের কাজটা তাঁরাই করেন৷ কিন্তু অসমের হাইলাকান্দি জেলায় ঘটছে উল্টো কাণ্ড৷ বেসরকারি সংস্থার কর্মীরা আগেই বায়োমেট্রিক সেরে নিচ্ছেন, পরে সুযোগ বুঝে সরকারি কর্তার সই আদায় করছেন৷ অবৈধ ভাবে বায়োমেট্রিক করাতে গিয়ে তারা বেছে নেন গোপন ঠিকানা৷ এনরোলমেন্ট সেন্টারের বাইরে ল্যাপটপ নিয়ে গিয়ে সংগ্রহ করা হয় হাতের ছাপ, চোখের মণির নমুনা৷
গত এক মাসে গোপনে বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহের তিনটি ঘটনা পুলিশের নজরে এসেছে৷ ধরা পড়েছে আধারের কাজে নিযুক্ত বেসরকারি সংস্থার তিন কর্মী৷ বুধবার বাহাদুরপুরে এনরোলমেন্ট সেন্টারের বাইরে বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহের সময়ে পুলিশ দু’জনকে হাতেনাতে ধরে ফেলে৷ ধৃতেরা হল রিয়াজুল করিম বড়ভুঁইয়া ও নুরুল হক বড়ভুঁইয়া৷ এ নিয়ে এই ধরনের ঘটনায় মোট ৫ জন গ্রেফতার হল।
হাইলাকান্দির পুলিশ সুপার পবীন্দ্রকুমার নাথ জানান, আধার এনরোলমেন্টের জন্য কাজ করতে হয় নির্ধারিত সেন্টারে, এবং তা শুধুই অফিস চলাকালে৷ দ্বিতীয়ত, গোটা প্রক্রিয়ায় নাগরিকদের কাছ থেকে এক টাকাও আদায় করা যায় না৷ হাইলাকান্দি জেলায় বেসরকারি সংস্থার কর্মীরা সব নিয়ম অনায়াসে ভেঙে দিচ্ছে৷ গ্রামবাসীর কাছ থেকে অর্থ আদায় করে রাতে বাইরে গিয়ে বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহ করছে৷