শিশুটিকে মারধরের ছবি ধরা পড়েছে সিসিটিভি ক্যামেরায়।
দিন দিন তাঁদের ছোট ছেলেটা কেমন যেন নেতিয়ে পড়ছিল। ক্রমে চুপ হয়ে যাচ্ছিল। যে ছেলে এত হাসিখুশি, চনমনে ছিল, হঠাৎ কী এমন হল, এই চিন্তাই ঘিরে ধরেছিল দম্পতিকে। আর দেরি না করে ছেলেকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান তাঁরা। পরীক্ষার পর চিকিৎসক জানান, ছেলেটির দেহের ভিতরে কিছু অঙ্গ ফুলে রয়েছে। যা দেখে চিকিৎসকও চমকে গিয়েছিলেন। দম্পতিকে তিনি জানান, এ ধরনের আঘাত সাধারণত শারীরিক অত্যাচারের কারণেই দেখা যায়।
কিন্তু কে তাঁদের ছেলেকে মারধর করে, বিষয়টি ঠাওর করতে পারছিলেন না। সন্দেহ হওয়ায় দম্পতি স্থির করেন বাড়িতে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগাবেন। স্বামী-স্ত্রী দু’জনেই চাকরিজীবী। বছর দু’য়েকের ছেলেকে দেখাশোনা করার জন্য এক মহিলাকে রেখেছিলেন তাঁরা। এর পরই মনে প্রশ্ন জাগে, তা হলে কি তাঁদের অনুপস্থিতিতে ছেলেকে মারধর করেন ওই পরিচারিকা?
বিষয়টি আরও সুনিশ্চিত হওয়ার জন্য সিসিটিভি ক্যামেরা লাগান দম্পতি। যাঁর উপর ভরসা করে সারা দিন ছেলেকে ঘরে রেখে যান, সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায় সেই পরিচারিকাই তার উপর অত্যাচার করছেন। শুধু মারধরই নয়, আছাড় মারতেও দেখা গিয়েছে ওই পরিচারিকাকে। তাঁর এমন কাণ্ডে রীতিমতো হতবাক হয়ে যান ওই দম্পতি। সিসিটিভি ফুটেজ-সহ পরিচারিকার বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন। তার পরই তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
ভয়ানক এই ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের জবলপুরে।