ফাইল চিত্র।
সোমবার থেকে শুরু হয়েছে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন। কিন্তু বিরোধীদের হট্টগোলের জেরে গত কাল অধিবেশন মুলতুবি হয়ে যায়। আজ, মঙ্গলবার বেলা ১১টা থেকে ফের অধিবেশন শুরু হওয়ার কথা। তবে বিরোধীরা ফের বাধা দিতে পারে। অন্য দিকে, এ বারের অধিবেশনে বেশ কয়েকটি বিল পাশ করাতে চায় সরকার পক্ষ। ফলে আজ তা হয় কি না নজর থাকবে সে দিকে।
সোমবার কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের গঙ্গা উপকূলবর্তী বেশ কয়েকটি এলাকায় তাপমাত্রার পারদ স্বাভাবিকের সামান্য নীচে নেমেছে। সকালে শীতের শিরশিরানি অনুভবও করেছেন শহরবাসী। তবে পশম-চাদরে জম্পেশ শীতের আমেজ নিতে এখনও বেশ কিছু দিনের অপেক্ষা। কারণ গাঙ্গেয় বঙ্গে শীতের উত্তুরে হাওয়া ঢোকার ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে বঙ্গোপসাগরে ঘনিয়ে ওঠা একটি নিম্নচাপ। ফলে ঠান্ডা হাওয়া বইলেও এখনই শীত আসছে না।
কোভিড পরিস্থিতিতে ভোট নেওয়ার জন্য বেশ কিছু ব্যবস্থা নিয়েছে কমিশন। সোমবার স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে প্রাথমিক ভাবে তারা একটি বৈঠক করে। সেখানেই স্থির হয়, স্বাস্থ্য দফতর ওয়ার্ডভিত্তিক করোনা পরিসংখ্যান তুলে দেবে কমিশনের হাতে। সেই অনুযায়ী তারা ব্যবস্থা নেবে। আপাতত কমিশন জানিয়েছে, প্রতি বুথে মাস্ক, ডান হাতে গ্লাভস, স্যানিটাইজার এবং তাপমাত্রা পরিমাপের যন্ত্র রাখা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এ ছাড়া করোনা আক্রান্তদের বুথে নিয়ে যাওয়ার জন্য থাকছে অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা। আজ কমিশন ওই আধিকারিকদের সঙ্গে ফের বৈঠকে বসছে। ফলে নজর থাকবে সে দিকেও।
রাজ্যে টানা চার দিন দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৭০০-র উপর থাকার পর সোমবার তা অনেকটাই কমল। কলকাতাতেও আক্রান্তের সংখ্যা ২০০-র নীচে নেমেছে। বেশ কয়েক দিন পর আক্রান্তের সংখ্যা ১০০-র নীচে নামল উত্তর ২৪ পরগনায়। যদিও আক্রান্তের সংখ্যা কমলেও একলাফে অনেকটা বাড়ল সংক্রমণের হার। ছ’দিন পর রাজ্যে কোভিড পরীক্ষা আবার ৩০ হাজারের নীচে নামল। সোমবার রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৫১১ জন। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৬ লক্ষ ১৫ হাজার ৩৭৮। কলকাতায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১৬৩ জন। নজর থাকবে ওই সংক্রান্ত খবরের দিকেও।
এ ছাড়া নজর থাকবে আইএসএল-এ ইস্টবেঙ্গল বনাম ওড়িশার ম্যাচ, বাংলাদেশ-পাকিস্তান প্রথম টেস্টের শেষ দিন এবং ওমিক্রন সংক্রান্ত খবরের দিকে।