মুম্বইয়ের ২৭ বছরের যুবক জিতেন্দ্র দীনেশলাল জোশীর বিরুদ্ধে নিজের ভুয়ো অপহরণের চক্রান্ত করার অভিযোগ উঠেছে। —প্রতীকী ছবি।
একসঙ্গে দু’টি দামি মোবাইল কিনে ফাঁপরে পড়ে গিয়েছিলেন। সেগুলির কিস্তির টাকা মেটাতে নিজেকে ভুয়ো অপহরণের ছক কষেন তিনি। তবে বাবার কাছ থেকে মুক্তিপণের ৫ লক্ষ টাকা চাইতে গিয়ে হাতনাতে ধরা পড়ে গেলেন মুম্বইয়ের এক যুবক। ওই যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে শুক্রবার জানিয়েছে মুম্বই পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, ৩০ মে মুম্বইয়ের বাঙ্গুরনগর থানা এলাকার বাসিন্দা জিতেন্দ্র দীনেশলাল জোশীর ‘নিখোঁজ’ হওয়ার ৫ ঘণ্টার মধ্যেই তাঁকে উদ্ধার করা হয়েছিল। তদন্তের অঙ্গ হিসাবে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করতেই জিতেন্দ্রর জবাবে অসঙ্গতি পাওয়া যায়। এর পর তাঁকে গ্রেফতার করে বাঙ্গুরনগর থানার পুলিশ।
মুম্বই পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (জ়োন-১১) অজয়কুমার বনসল জানিয়েছেন, মাস দুয়েক আগে বিয়ে করেছিলেন ২৭ বছরের জিতেন্দ্র। বিপুল ঋণের বোঝা থাকা সত্ত্বেও সম্প্রতি একসঙ্গে দু’টি দামি মোবাইল কিনেছিলেন তিনি। অভিযোগ, মোবাইলগুলির কিস্তির টাকা মেটাতে অপারগ হওয়ায় নিজের ভুয়ো অপহরণের নাটক করেন জিতেন্দ্র। ৩০ মে তাঁর স্ত্রীর হোয়াট্সঅ্যাপে বার্তা পাঠানো হয়েছিল, জিতেন্দ্রকে জীবিত অবস্থায় দেখতে চাইলে তাঁরা যেন অবিলম্বে ৫ লক্ষ টাকা মুক্তিপণের ব্যবস্থা করেন। সঙ্গে সঙ্গে শ্বশুর দীনেশলালকে বিষয়টি জানান জিতেন্দ্রর স্ত্রী। ছেলের অপহরণের অভিযোগে পুলিশের দ্বারস্থ হলে আসল ঘটনা জানা যায়।
সংবাদমাধ্যমের কাছে বনসল বলেন, ‘‘তদন্তে নেমে আমরা প্রায় ১০০টি সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখি। তাতে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সূত্র মেলায় মালাড এলাকা থেকে জিতেন্দ্রর খোঁজ পাওয়া যায়। এর পর ৫ ঘণ্টার মধ্যে এই কেসটির সমাধান করে ফেলি আমরা।’’
জিতেন্দ্রর খোঁজ মেলার পর তাঁকে প্রশ্ন করতেই খটকা লেগেছিল বলে জানিয়েছেন বাঙ্গুর নগর থানার সিনিয়র ইনস্পেক্টর প্রমোদ তাবড়ে। তিনি বলেন, ‘‘গোটা গল্পে কিছু একটা সূত্র মিলছিল না। জিতেন্দ্রকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই স্বীকার করেন যে, নিজের ভুয়ো অপহরণের ছক কষেছিলেন তিনিই। এ চক্রান্তে সঙ্গ দিয়েছেন তাঁর মালাডের সংস্থার এক কর্মী। যদিও ওই কর্মীর বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ আনা হয়নি।’’