প্রতীকী ছবি।
হাথরসের দলিত তরুণীর গণধর্ষণের ঘটনা নিয়ে যখন উত্তাল দেশ, তখনই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সামনে আসছে একের পর এক গণধর্ষণের ঘটনা। এ বার গুরুগ্রামে চার জনের হাতে গণধর্ষণের শিকার ২৫ বছরের এক যুবতী। ধর্ষণে বাধা দেওয়ায় ওই যুবতীকে মারধরও করে অভিযুক্তরা। যার জেরে মাথায় গুরুতর আঘাত নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন তিনি। রবিবার এই ঘটনার কথা জানিয়েছে পুলিশ।
এই ঘটনায় যুক্ত অভিযুক্তদের গ্রেফতার করার কথা জানিয়েছেন ডিএলএফের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার অব পুলিশ কর্ণ গয়াল। তিনি জানিয়েছেন, নির্যাতিতার দেওয়া বয়ান অনুসারে রবিবার সকালেই অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের সকলের বয়স ২০ থেকে ২৫-এর মধ্যে। তাদের নাম রঞ্জন যাদব, পবন, পঙ্কজ কুমার ও গোবিন্দ যাদব। এর মধ্যে রঞ্জন গুরুগ্রামের ফেজ-২-এর একটি রিয়্যাল এস্টেট অফিসে হেল্পারের কাজ করে। বাকি তিনজন একটি ফুড ডেলিভারি সংস্থায় ডেলিভারি বয়ের কাজ করে।
ওই পুলিশ অফিসার জানিয়েছেন, ওই যুবতীর বাড়ি দিল্লিতে। শনিবার রাতে সিকন্দরপুর মেট্রো স্টেশনে রঞ্জনের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। কথা হওয়ার পর তাঁর সঙ্গে রিয়্যাল এস্টেট অফিসে আসেন নির্যাতিতা। সেখানে আগে থেকেই উপস্থিত ছিল অপর তিন অভিযুক্ত। সেই অফিসে এসে চারজনকে দেখেই সন্দেহ হয় যুবতীর। তিনি সেখান থেকে বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন।
পুলিশের কাছে দেওয়া বয়ানে ওই নির্যাতিতা জানিয়েছেন, তিনি সেখান থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করলে তাঁকে বাধা দেয় অভিযুক্তরা। লাথি-ঘুঁষি মেরে ফেলে দেয় মাটিতে। তার পর যৌন নির্যাতন চালানো হয় তাঁর উপর। পালানোর চেষ্টা করায় তাঁর মাথা অভিযুক্তরা বার বার দেওয়ালে ঠুকে দেয় বলে পুলিশকে জানিয়েছেন ওই যুবতী। যার জেরে তাঁর মাথায় গুরুতর আঘাত লেগেছে।
সেই ঘটনার পর রাস্তার ধারে নির্যাতিতাকে ফেলে চলে যায় অভিযুক্তরা। বেসরকারি সংস্থার কিছু নিরাপত্তারক্ষী কান্নার আওয়াজ শুনে ওই নির্যাতিতাকে পড়ে থাকতে দেখেন। তাঁরাই খবর দেন পুলিশকে। পুলিশ এসে নির্যাতিতাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। কর্ণ গয়াল বলেছেন, ‘‘নির্যাতিতার মাথায় গুরুতর আঘাত লেগেছে। প্রচুর রক্তপাতও হয়েছে। তাঁর অবস্থা এখন স্থিতিশীল।’’
আরও পড়ুন: ঝরঝরে বাংলায় তনুশ্রী বললেন, কাউকেই ভয় পাই না। কাজ থামবে না
নির্যাতিতার বয়ান নথিভুক্ত করে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওই অফিসার। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ ডি, ৩২৩ ও ৫০৬ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এই ঘটনা ছাড়াও গুজরাতের জামনগরে এক নাবালিকাকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে চার জনের বিরুদ্ধে। তার মধ্যে তিন জনকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ২৮ সেপ্টেম্বর ঘটলেও, তা সামনে আসে ২ অক্টোবর। গুজরাতের নির্দল বিধায়ক ও দলিত নেতা জিগ্নেশ মেবাণী ওই ঘটনার কথা টুইটারে তুলে ধরে আক্রমণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে।
আরও পড়ুন: হাথরস-কাণ্ডে ১১ দিন পর নেওয়া স্যাম্পলে ‘ধর্ষণ চিহ্ন’ মিলল না