এমভি জগ আনন্দ— ফাইল চিত্র।
কোভিড-১৯ সংক্রান্ত বিধি এবং কূটনৈতিক জটিলতার কারণে চিনের বন্দরে আটকে থাকা দু’টি পণ্যবাহী জাহাজের ভারতীয় নাবিকদের প্রত্যাবর্তনে কিছুটা দেরি হতে পারে।
কেন্দ্রীয় জাহাজ ও জলপথ বিষয়ক মন্ত্রকের তরফে প্রাথমিক ভাবে জানানো হয়েছিল, চিনের জলসীমা থেকে জলপথে আটক একটি জাহাজের ২৩ জন ভারতীয় নাবিককে জাপানের চিবা বন্দরে আনা হবে। সেখান থেকে তাঁরা উড়ানে ভারতে ফিরবেন। কিন্তু আজ সরকারের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, করোনা প্রোটোকলের কারণে ১৮ জানুয়ারির আগে তাঁরা দেশে ফিরতে পারবেন না। অন্য জাহাজের আটক ১৬ জন ভারতীয় নাবিক এখনও চিনের জলসীমা ছাড়ার অনুমতি পাননি বলে বৃহস্পতিবার জানা গিয়েছে।
অস্ট্রেলিয়া থেকে কয়লা নিয়ে আসছিল দু’টি ভারতীয় জাহাজ এমভি জগ আনন্দ এবং পানামার জাহাজ এমভি অনস্তেশিয়া। জগ আনন্দ ১৩ জুন চিনের জিংট্যাং বন্দরে নোঙর করে। অন্য দিকে অনস্তেশিয়া ২০ সেপ্টেম্বর পৌঁছয় কাওফেইডিয়ান বন্দরে। কিন্তু চিন সরকার পণ্য খালাসের অনুমতি দেয়নি। সেই সঙ্গে আনন্দ এবং অনস্তেশিয়াকে চিনের জলসীমা না-ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। দু’টি জাহাজের মোট ৩৯ জন ভারতী নাবিক আটকে পড়েন। এঁদের মধ্যে ২৩ জন জগ আনন্দের এবং ১৬ জন অনস্তেশিয়ার।
শেষ পর্যন্ত কূটনৈতিক স্তরে আলোচনার পরে আটক নাবিকদের মুক্তি দিতে সম্মত হয় চিন। গত সপ্তাহে কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য জানিয়েছিলেন জগ আনন্দের ২৩ জন নাবিক ১৪ জানুয়ারি ভারতে ফিরবেন। পরবর্তী পর্যায়ে ফিরবেন অনস্তেশিয়ার ১৬ জন। ওই ২৩ জন বৃহস্পতিবার জাপানের জলসীমায় পৌঁছেছেন বলে জানা গিয়েছে।
অন্যদিকে, অনস্তেশিয়ার নাবিকদের এখনও চিনে আটকে। তাঁদেরই একজন গৌরব সিংহ জানিয়েছেন, তাঁদের এখনও চিনের জলসীমা ছাড়ার অনুমতি দেওয়া হয়নি। তিনি বলেন, ‘‘ভারতীয় জাহাজ হওয়ার কারণে জগ আনন্দ মুক্তি পেয়েছে। কিন্তু আমাদের জাহাজটি পানামার। তাই কিছু কূটনৈতিক জটিলতা রয়েছে। আমাদের বলা হয়েছে, চিনের জলসীমা ছাড়ার চেষ্টা করলে গ্রেফতার করা হবে।’’
আরও পড়ুন: ভিআরএস নিয়ে বিজেপি-তে মোদী ঘনিষ্ঠ আইএএস অরবিন্দ
আরও পড়ুন: বায়ুসেনার দেশীয় যুদ্ধবিমান তেজস কিনতে বরাদ্দ ৪৮ হাজার কোটি