২০২১ সালে দেশে যক্ষ্মা আক্রান্তের সংখ্যা আগের বছরের থেকে ১৮ শতাংশ বেড়েছে। ছবি রয়টার্স।
২০২১ সালে গোটা দেশে যক্ষ্মায় আক্রান্ত হয়েছেন ২১ লক্ষ ৪০ হাজার জন। ২০২০ সালের থেকে ১৮ শতাংশ বেশি। ২০২১ সালে গোটা দেশে যক্ষ্মার পরীক্ষা করা হয়েছে ২২ লক্ষ জনের। এই তথ্য দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গ্লোবাল টিবি রিপোর্ট। ভারত যদিও স্পষ্টই জানিয়েছে, অন্য অনেক দেশের তুলনায় পরিস্থিতি অনেক ভাল এ দেশে।
২৭ তারিখ গ্লোবাল টিবি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে হু। তারা জানিয়েছে, কোভিডের কারণে পিছনের সারিতে চলে গিয়েছে যক্ষ্মা। এর ফলে সঠিক চিকিৎসা এবং পরিষেবা পাননি যক্ষ্মা রোগীরা। তাতে আরও বেড়েছে যক্ষ্মা আক্রান্তের সংখ্যা। বেড়েছে মৃত্যু। পরিসংখ্যান বলছে, যে চারটি দেশে যক্ষ্মায় মৃত্যু সব থেকে বেশি, তার মধ্যে রয়েছে ভারত।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক অবশ্য তা মানতে চায়নি। জানিয়েছে, অন্য অনেক দেশের তুলনায় ভারতের পরিস্থিতি অনেক ভাল। বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, ‘‘২০২১ সালে ভারতে প্রতি এক লক্ষ জনে যক্ষ্মায় আক্রান্ত হয়েছেন ২১০ জন। ২০১৫ সালের পরিসংখ্যানকে ভিত্তি ধরলে (ওই বছর এক লক্ষ জনে যক্ষ্মা আক্রান্ত হয়েছিলেন ২৫৬ জন) ২০২১ সালে প্রতি এক লক্ষ জনে ১৮ শতাংশ কম আক্রান্ত হয়েছেন। সারা বিশ্বের তুলনায় সাত শতাংশ কম আক্রান্ত হয়েছেন।’’ বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, আক্রান্তের নিরিখে ভারতের স্থান গোটা দুনিয়ায় ৩৬ নম্বরে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, দেশে যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণে এই যে সাফল্য, তা এসেছে সঠিক সময়ে রোগ নির্ধারণের কারণে। ঘরে ঘরে ঘুরে আক্রান্তদের পরীক্ষা করা নেওয়া হয়েছে। দেশের সব জেলায় মিলিয়ে যক্ষ্মা নির্ণয়ের জন্য ৪,৭৬০টি মলিকিউলার ডায়গনস্টিক যন্ত্র রয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, যক্ষ্মা নিয়ে বিশ্বব্যাপী রিপোর্ট পেশের আগে হুর সঙ্গে যোগাযোগ করেছে তারা। জানিয়েছে যে, যক্ষ্মা আক্রান্তের পরিসংখ্যান নিয়ে দেশে সমীক্ষা চালাচ্ছে সরকার। সেই রিপোর্ট ২০২৩ সাল নাগাদ হুর হাতে তুলে দেওয়া হবে। পরিপ্রেক্ষিতে হু রিপোর্টে জানিয়েছে, ২০২০-২১ সালে ভারতে যক্ষ্মা আক্রান্ত এবং মৃতের পরিসংখ্যান অন্তর্বর্তী এবং তা ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সঙ্গে আলোচনার পরেই চূড়ান্ত হবে।
প্রসঙ্গত, দেশ থেকে যক্ষ্মা নির্মূল করার জন্য ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে প্রধানমন্ত্রী যক্ষ্মা মুক্ত ভারত অভিযান শুরু করেছে কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, এই প্রকল্পের অধীনে সারা দেশে ১০ লক্ষ ৪৫ হাজার যক্ষ্মা রোগীর চিকিৎসার দায়িত্ব কাঁধে তুলে দিয়েছেন ৪০ হাজার ‘নিক্ষয় মিত্র’।