ছবি: সংগৃহীত।
পছন্দের প্রার্থীর কাছেই ভোট পড়ল কি না, তা জানতে অপেক্ষার দিন শেষ! আগামী লোকসভা নির্বাচনে সারা দেশেই এমন ভোটযন্ত্রের ব্যবস্থা করা হচ্ছে যার মাধ্যমে ভোটদানের সঙ্গে সঙ্গেই ভোটদাতা নিজেই দেখতে পারবেন তা পছন্দমতো প্রার্থীর কাছেই গেল কি না। পোশাকি নাম ‘ভোটার-ভেরিফায়েড পেপার অডিট ট্রেল’ (ভিভিপ্যাট)। বর্তমান ভোটযন্ত্র ইভিএমের সঙ্গেই সংযোজিত থাকবে এটি। এই যন্ত্র তৈরির জন্য দু’টি সংস্থাকে বরাত দিতে ৩১৭৪ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে কেন্দ্র। বুধবার এ কথা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের জন্য মোট ১৬ লক্ষ ভিভিপ্যাট প্রয়োজন বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। আগামী বছর সেপ্টেম্বরের মধ্যেই তা তৈরি হয়ে যাবে।
উত্তরপ্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডে বিজেপি-র বিপুল জয়ের পর বিরোধীরা একযোগে অভিযোগ করতে থাকেন, ইভিএম যন্ত্রে কারচুপির জন্যই বেশি ভোট বিজেপি-র ঘরে গিয়েছে। বহুজন সমাজবাদী পার্টির নেত্রী তথা রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মায়াবতী সবচেয়ে প্রথম এই অভিযোগ করেন। আঙুল তোলেন নির্বাচন কমিশনের দিকেই। এর পর একে একে তাতে সুর মেলায় কংগ্রেস, আম আদমি পার্টি-সহ আরও অনেক বিরোধী দল। যদিও সেই অভিযোগ খণ্ডন করে নির্বাচন কমিশন।
আরও পড়ুন
পয়লা মে থেকে লালবাতি উঠে যাচ্ছে গোটা দেশে
নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ভিভিপ্যাট মেশিনে কারচুপি করা সহজ হবে না। এই মেশিনে পছন্দের প্রার্থীর পাশে বোতাম টেপার পর একটি স্লিপে ওই প্রার্থীর দলীয় দিহ্ন দেখা যাবে। সাত সেকেন্ড ধরে ভোটদাতা তা নিজেই দেখতে পারবেন। এর পর ওই স্লিপটি একটি সিলবন্ধ বাক্সে পড়ে যাবে।
ইভিএমে ভোটদান করা নিয়ে বহু দিন থেকেই মুখর হয়েছে বিরোধীরা। এমনকী তা না হলে ব্যালট পেপারের সাহায্যে ভোটদানের পুরনো নিয়ম ফিরিয়ে আনার জন্য সুপ্রিম কোর্টের কাছেও আর্জি জানায় একাধিক রাজনৈতিক দল।
ভিভিপ্যাট যন্ত্রের মাধ্যমে ভোটের ব্যবস্থা করতে ২০১৩ সালে নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। একলপ্তে না হলেও তা যেন দফায় দফায় করা যায় তা-ও জানিয়েছিল শীর্ষ আদালত। ২০১৯-এর লোকসভা ভোটে এই মেশিন ব্যবহারের জন্য ব্যবস্থা নিতে বলা হয়। তবে নির্বাচন কমিশনের বার বার তাগাদা সত্ত্বেও এত দিন এই যন্ত্রের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ করছিল না কেন্দ্র। এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেও চিঠি লিখে আর্জি জানান মুখ্য নির্বাচন কমিশনার নসীম জৈদী। শেষমেশ সেই ডাকেই সাড়া দিল কেন্দ্রীয় সরকার।