— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
ওড়িশায় বাজ পড়ে এক দিনে মৃত্যু হল ন’জনের। জখম আরও ২০। নিহতদের মধ্যে রয়েছে এক কিশোরও। শনিবার ওড়িশার বিভিন্ন জেলায় বজ্রপাতের আলাদা আলাদা ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন কমপক্ষে ন’জন। নিহতদের মধ্যে দু’জন ময়ূরভঞ্জের, দু’জন ভদ্রকের এবং বাকিরা ঢেঙ্কানল, জজপুর, কেন্দাপাড়া, কটক এবং গঞ্জাম জেলার বাসিন্দা। ময়ূরভঞ্জ জেলায় লক্ষ্মণ মুর্মু এবং তাঁর স্ত্রী সাকার মুর্মু ক্ষেতে কাজ করার সময় বজ্রপাতের কবলে পড়েন। তাঁদের এক জনের মৃত্যু হয়েছে। ভদ্রক জেলায় মৃত্যু হয়েছে আরও দুই কৃষকের। তাঁদের নাম অমর শেঠি এবং হেমন্ত বারিক। কেওনঝড়ে বজ্রাঘাতে মৃত্যু হয়েছে ১৩ বছরের এক কিশোরের। বারগড়ে আহত হয়েছেন আরও ১২ জন।
প্রশাসনের তরফে রাজ্যবাসীদের বজ্রপাতের সময় খোলা জায়গায় না থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। মাঠ, ফাঁকা রাস্তায় কিংবা গাছের নিচে থাকতে নিষেধ করা হয়েছে।
ক্লাইমেট রেসিলিয়েন্ট অবজ়ারভিং সিস্টেম্সের পরিসংখ্যান বলছে, গত পাঁচ বছরে ওড়িশায় বাজ পড়ে মৃত্যু হয়েছে ১০,৭৪১ জনের। এর মধ্যে প্রতি ১০০০ বর্গ কিলোমিটারে মৃত্যু হয়েছে ৬৯ জনের। সেখানে প্রতি দশ লক্ষ মানুষের মধ্যে ২৫৬ জনেরই মৃত্যু হয়েছে বজ্রাঘাতে। তবে প্রতি ১০ লাখ জনসংখ্যায় বজ্রাঘাতে মৃত্যুর হারে প্রথম স্থানে রয়েছে মধ্যপ্রদেশ (২৬১)। ওড়িশার স্থান দ্বিতীয়।