Jammu & Kashmir Election

১০ বছর পর বিধানসভা নির্বাচন জম্মু ও কাশ্মীরে, ৩৭০ ধারা বাতিলের পর কেমন আছে উপত্যকা?

তিনটি ধাপে বিধানসভা নির্বাচন হতে চলেছে জম্মু ও কাশ্মীরে। প্রথম দফার ভোট হবে ১৮ সেপ্টেম্বর, দ্বিতীয় দফায় ২৫ সেপ্টেম্বর এবং শেষ দফার ভোট হবে ১ অক্টোবর। আগামী ৪ অক্টোবর নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হবে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ অগস্ট ২০২৪ ১৯:২৭
Share:

— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

২০১৮ সালে সরকারের পতনের পর থেকে ২০২৪ সালে নির্বাচনের ঘোষণা— মাঝে কেটে গিয়েছে দীর্ঘ পাঁচ বছর। ১০ বছর পর বিধানসভা নির্বাচন হতে চলেছে উপত্যকায়। কেমন আছে জম্মু ও কাশ্মীর?

Advertisement

শুক্রবার নির্বাচনী কমিশন ঘোষণা করেছে তিনটি ধাপে বিধানসভা নির্বাচন হতে চলেছে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে। প্রথম দফার ভোট হবে ১৮ সেপ্টেম্বর, দ্বিতীয় দফায় ২৫ সেপ্টেম্বর এবং শেষ দফার ভোট হবে ১ অক্টোবর। আগামী ৪ অক্টোবর নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হবে।

নির্বাচনী কমিশন জানাচ্ছে, প্রথম দফায় ২৪টি আসনে, দ্বিতীয় দফায় ২৬টি এবং শেষ দফায় ৪০টি বিধানসভা আসনে ভোটগ্রহণ হবে। শেষ নির্বাচনে ৮৭টি আসনে নির্বাচন হয়েছিল। এর মধ্যে চারটি আসন ছিল লাদাখের। কিন্তু ৩৭০ ধারা অপসারণের পর থেকে লাদাখও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত হয়েছে। ফলে জম্মু ও কাশ্মীরে বিধানসভা আসনের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৯০।

Advertisement

২০১৯ সালের অগস্ট মাসে কেন্দ্র সংবিধানের ৩৭০ নম্বর অনুচ্ছেদে বর্ণিত জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা লোপ করেছিল নরেন্দ্র মোদী সরকার। সাবেক জম্মু-কাশ্মীর রাজ্যকে দুই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু-কাশ্মীর এবং লাদাখে ভাগ করা হয়েছিল। ২০১৮ সালে বিধানসভা ভাঙার পর সেখানে জারি হয় রাষ্ট্রপতি শাসন। ২০১৯ সালের ৫ অগস্ট জম্মু-কাশ্মীর সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারি করেন রাষ্ট্রপতি। এর মাধ্যমে সংবিধানে ৩৬৭(৪) নম্বর অনুচ্ছেদ যোগ করা হয়। ফলে সংবিধানের ৩৭০(৩) নম্বর ধারায় ‘রাজ্যের সংবিধান সভা’-র বদলে ‘রাজ্যের বিধানসভা’ শব্দটি যোগ হয়। সে দিনই সংসদে কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা লোপ এবং জম্মু-কাশ্মীর ভাগের বিল পাশ হয়। পরের দিন রাষ্ট্রপতি জানান, এখন থেকে ৩৭০ নম্বর অনুচ্ছেদ আর কার্যকর হবে না।

গত ছ’বছর ধরে জম্মু ও কাশ্মীরে কোনও নির্বাচিত সরকার নেই। শেষ নির্বাচনের পর এখানে বিজেপি ও পিডিপি জোট সরকার ছিল। ২০১৮ সালে পিডিপির সঙ্গে জোট ভাঙে বিজেপি। এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পদত্যাগ করেন রাজ্যের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি। জম্মু ও কাশ্মীরের রাজমৈতিক দলগুলি তখন থেকেই রাজ্যে নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছে। সরকারের পতনের পর সেখানে রাজ্যপালের শাসন কায়েম হয়। ২০১৮ সালের নভেম্বরে জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভা ভেঙে দেন তৎকালীন রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক। ছ’মাস রাজ্যপাল শাসন চলার পর শুরু হয় রাষ্ট্রপতি শাসন। এখনও জম্মু ও কাশ্মীরে রাষ্ট্রপতি শাসনই চলছে।

৩৭০ ধারা অপসারণের পর থেকে কেন্দ্রীয় সরকার বেশ কয়েক বার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যে, বিধানসভা নির্বাচনের পরে জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যের মর্যাদা ফিরে পাবে। এই প্রতিশ্রুতির স্মৃতি বুকে নিয়ে আগামী নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন উপত্যকার মানুষ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement