ছবি: পিটিআই।
এত দিনে বেঙ্গালুরুর বাসিন্দারা যা পারেননি, তা করে দিল চন্দ্রযান-২! তার দৌলতে প্রায় ২০ কিলোমিটার রাস্তা সারাই হয়েছে শহরে। কারণ, চন্দ্রে ভারতের ‘বিক্রমের’ অবতরণ চাক্ষুষ করতে খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এসেছেন শহরে।
আজ রাতে বেঙ্গালুরুর ইয়েলাঙ্কা বায়ুসেনা ঘাঁটিতে নামেন প্রধানমন্ত্রী। তার পর চলে আসেন ‘ইসরোর’ টেলিমেট্রি, ট্র্যাকিং অ্যান্ড কম্যান্ড নেটওয়ার্ক (ইসট্র্যাক) দফতরে। সেখান থেকেই চন্দ্রে অবতরণ নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছিল। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিল ৬০ জন পড়ুয়াও। তাদের মধ্যে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের দুই পড়ুয়া— ইউসরা আলম ও সৌমিল বসু।
আজ দুপুরে কথা হচ্ছিল অটোচালক কে বিজয়কুমারের সঙ্গে। হেসে বললেন, ‘‘ভাগ্যিস, প্রধানমন্ত্রী এলেন। তাই তড়িঘড়ি রাস্তা সারাই হয়েছে। এত দিন ওই রাস্তায় খানাখন্দ ভর্তি ছিল। বারবার বলেও লাভ হয়নি। শোনা যাচ্ছে, প্রধানমন্ত্রীর রাস্তায় যাতে খানাখন্দ না থাকে তা নিশ্চিত করতে তৎপর হন মুখ্য সচিব। তার পরেই কাজে নামে বৃহৎ বেঙ্গালুরু মহানগর পালিকা।’’ প্রসঙ্গত, বেঙ্গালুরুর রাস্তা নিয়ে কম নাগরিক আন্দোলন হয়নি। সম্প্রতি বেঙ্গালুরুর খানাখন্দে ভরা একটি রাস্তায় ‘মুনওয়াক’ করেন শিল্পী বাদল ননজুনদাস্বামী। তার পর অবশ্য ওই বিশেষ রাস্তাটি সারানো হয়েছিল।
ভিভিআইপির আগমন নিয়ে ইসরোর অফিস চত্বর মুড়ে ফেলা হয়েছে কঠোর নিরাপত্তায়। এসপিজি ছাড়াও ছিলেন কর্নাটক ও বেঙ্গালুরু পুলিশের সাদা পোশাকের গোয়েন্দারা। সন্ধের পর থেকে ইসরোর অফিসের রাস্তাই ছিল কার্যত প্রহরায় মোড়া দুর্গ!