মধ্যপ্রদেশের কুনোর জঙ্গলে মৃত্যু হল আরও দু’টি চিতাশাবকের। — প্রতীকী ছবি।
বড়সড় ধাক্কা খেল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘প্রজেক্ট চিতা’। মধ্যপ্রদেশের কুনো জাতীয় উদ্যানে আরও ২টি চিতাশাবকের মৃত্যু হল বৃহস্পতিবার। গত মঙ্গলবারই কুনোতে একটি চিতাশাবকের মৃত্যু হয়েছিল। এ নিয়ে গত ২ মাসের মধ্যেই মৃত্যু হল মোট ৬টি চিতার।
গত ১৭ সেপ্টেম্বর নামিবিয়া থেকে ভারতে আনা হয়েছিল চিতাটিকে। নাম দেওয়া হয়েছিল জ্বালা। ভারতে আনার পর গত মার্চে ৪টি শাবকের জন্ম দিয়েছিল স্ত্রী চিতা ‘জ্বালা’। তার মধ্যে ৩টি শাবকেরই মৃত্যু হল। জীবিত শাবকটিকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এখন কুনো জাতীয় উদ্যানে ১৭টি পূর্ণবয়স্ক চিতা এবং ১টি চিতাশাবক রইল।
মঙ্গলবার যে চিতাশাবকের মৃত্যু হয়েছিল তার মৃত্যুর সম্ভাব্য কারণ হিসাবে কুনো জাতীয় উদ্যান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিলেন অপুষ্টিজনিত কারণে শারীরিক দুর্বলতাকে। কিন্তু বৃহস্পতিবার ২টি শাবকের মৃত্যুর কারণ নিয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি।
চলতি মাসের ৯ তারিখে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আনা মহিলা চিতা দক্ষের মৃত্যু হয়েছিল কুনোয়। অনুমান, ফিন্ডা নামে একটি পুরুষ-চিতার আক্রমণে তার মৃত্যু হয়। গত ২৭ মার্চ কুনোয় প্রথম মৃত্যু হয়েছিল নামিবিয়া থেকে আনা ৫ বছরের স্ত্রী-চিতা শাসার। ২৪ এপ্রিল মারা যায় দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আনা পুরুষ-চিতা উদয়। মধ্যপ্রদেশ বন বিভাগের চিকিৎসকেরা জানিয়েছিলেন, কিডনিতে সংক্রমণের কারণে শাসার মৃত্যু হয়েছে। অন্য দিকে উদয়ের মৃত্যুর কারণ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছিল, ‘কার্ডিয়ো পালমোনারি ফেলিওর’-কে। গত মঙ্গলবার জ্বালার জন্ম দেওয়া শাবকের মৃত্যু হয়। তার মৃত্যুর সম্ভাব্য কারণ হিসাবে উঠে আসে শারীরিক দুর্বলতার কথা। বৃহস্পতিবারই মৃত্যু হল আরও ২টি চিতাশাবকের। এখন জীবিত চিতাশাবকটিকে কড়া পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। তার শারীরিক অবস্থাও বিশেষ ভাল নয় বলেই জানা গিয়েছে।