প্রতীকী ছবি।
একদিনে দুই বর এসে হাজির কনের বাড়িতে। কনে তাঁদের একজনকে বিয়ে করলেন। পরে দ্বিতীয়জনের গলায় মালা দিয়ে তাঁর সঙ্গে ঘর ছাড়লেন। ব্যাপারটি নিয়ে দুই বরের পরিবারের অশান্তি, শেষে পুলিশের হস্তক্ষেপের পর জানা গেল কনে নাবালিকা।
এই ঘটনায় আপাতত কনে তাঁর নিজের বাড়িতেই ফিরে এসেছেন। তবে তাঁর বাবা-কাকা এমনকি শ্বশুরবাড়ির সদস্যরাও রয়েছেন পুলিশের হেফাজতে। তাঁদের বিরুদ্ধে জেনে বুঝে নাবালিকার বিয়ে দেওয়ার অভিযোগ দায়ের হয়েছে। দোষী প্রমাণিত হলে তাঁদের দু’বছর পর্যন্ত হাজতবাসের সাজা অথবা জরিমানা বা উভয়ই হতে পারে।
বিয়ে নিয়ে এই বিভ্রান্তিকর ঘটনা ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের এটাওয়া জেলার সিরন গ্রামে। জাতীয় স্তরের এক সংবাদ সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী বিয়ের দিন বরযাত্রী নিয়ে দুই বর হাজির হন তাঁর বাড়িতে। কিন্তু সময়ের সামান্য হেরফেরে ঘটে যায় গণ্ডগোল। প্রথম যে বর এসে উপস্থিত হন, তার সঙ্গেই বিয়ের রীতি সম্পন্ন হয়। এর মধ্যে দ্বিতীয় বর বরযাত্রী নিয়ে এলে তাঁকেই মনে ধরে কনের। এই দ্বিতীয় বরকেই গলার মালা পরিয়ে দেন তিনি।
হিন্দুপুরাণের স্বয়ম্বর সভায় বিবাহেচ্ছুক নারী যাকে মালা পরাতেন, তাঁর সঙ্গেই হত বিয়ে। উত্তরপ্রদেশের কনেও দ্বিতীয় বরের সঙ্গে তাঁর বাড়িতে যেতে চাইলে আপত্তি তোলেন প্রথম বর এবং তাঁর পরিবার। দুই বরের মধ্যে অবশ্য হাতাহাতি বা সংঘর্ষ হয়নি। তার আগেই পুলিশ এসে পড়ে। কিন্তু তদন্তে এরপর সামনে আসে আরও একটি তথ্য। জানা যায়, যে বিয়ে নিয়ে গোলমাল, সেই বিয়ে আদপেই বৈধ নয়। কারণ কনের বয়স এখনও ১৮ হয়নি।
দ্রুত ব্যবস্থা নেয় প্রশাসন। প্রথমেই কনের শ্বশুরবাড়ি থেকে ওই নাবালিকাকে তাঁর বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করা হয়। তারপর হেফাজতে নেওয়া হয় বর এবং কনের বাড়ির সদস্যদের। পুলিশ জানিয়েছে কনের বাবা এবং কাকাকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পুলিশি হেফাজতে রয়েছেন বরের বাড়ির সদস্যদেরও। তাঁদের বিরুদ্ধে জেনে বুঝে নাবালিকার বিয়ে দেওয়ার অভিযোগ দায়ের হয়েছে। দোষী প্রমাণিত হলে দু’বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড, জরিমানা অথবা দুই-ই হতে পারে। কনে এবং বর অবশ্য আলাদা বাড়িতেই আছেন। তবে তাঁদের বিয়ে বৈধ কি না সে ব্যাপারে পুলিশ কিছু জানায়নি।