ছবি: সংগৃহীত।
উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে রাজ্যের প্রদেশ কংগ্রেস কমিটিতে দু’জন সহ-সভাপতি নিযুক্ত করা হল। প্রবীণ-নবীন, ব্রাহ্মণ-মুসলিম ভোটের সমীকরণ মাথায় রেখে কানপুর ক্যান্টনমেন্টের বিধায়ক সোহেল আখতার আনসারি ও প্রাক্তন যুব কংগ্রেস নেতা যোগেশ দীক্ষিতকে সহ-সভাপতি নিয়োগ করা হয়েছে।
রবিবারই কংগ্রেস উত্তরপ্রদেশের ভোটের প্রস্তুতির জন্য সাতটি কমিটি তৈরি করেছে। সলমন খুরশিদের নেতৃত্বে ইস্তাহার কমিটি তৈরি হয়েছে। কিন্তু তাতে বাদ দিয়েছেন দুই ‘বিক্ষুব্ধ’ নেতা রাজ বব্বর ও জিতিন প্রসাদ। সনিয়া গাঁধীকে লেখা চিঠিতে দুই নেতাই সই করেছিলেন। বিক্ষুব্ধদের এ বার কোণঠাসা করা হচ্ছে বলে অন্দরমহলে অভিযোগের মধ্যেই আজ কংগ্রেস সূত্রে বার্তা দেওয়া হয়েছে, খুব শীঘ্রই উত্তরপ্রদেশ কংগ্রেসে আরও সাংগঠনিক রদবদল হবে। তবে তাতে বিক্ষুব্ধ নেতারা জায়গা পাবেন কি না, এমন নিশ্চয়তা কংগ্রেস নেতৃত্ব দেননি। তবে কংগ্রেস নেতাদের দাবি, উত্তরপ্রদেশের ভারপ্রাপ্ত প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরার নেতৃত্বে সকলে এককাট্টা হয়ে লড়বেন। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অজয়কুমার লাল্লুর পাশে থাকবেন।
২০২২-এ উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা ভোট। সাধারণত যে কোনও ভোটের প্রস্তুতিতেই কংগ্রেসের দেরিতে ঘুম ভাঙার সংস্কৃতি রয়েছে। কিন্তু এ বার প্রিয়ঙ্কা গাঁধীর বঢরার নেতৃত্বে যে কংগ্রেস অনেক আগেই প্রস্তুতি শুরু করে দিতে চাইছে, তা স্পষ্ট। দলীয় সূত্রের খবর, বিধানসভা ভোটের ৭-৮ মাস আগে ইস্তাহার প্রকাশ করে দেওয়া হবে। আইন-শৃঙ্খলা থেকে উন্নয়ন, যোগীর রাজ্যের সমস্যার কংগ্রেস কী ভাবে সমাধান করতে চায় তা বলা হবে। ইস্তাহার কমিটি রাজ্যের সমস্যা বুঝতে প্রতিটি জেলায় যাবে। কংগ্রেস নেতাদের দাবি, বিক্ষুব্ধ নেতাদের মোটেই কোণঠাসা করা হচ্ছে না। মঙ্গলবারই সনিয়া গাঁধী সংসদে কংগ্রেসের রণকৌশল ঠিক করতে সংসদীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।