মুম্বইয়ের বান্দ্রায় ঠাকরে বাড়ির (মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের পারিবারিক বাড়ির) নাম মাতোশ্রী। যশবন্ত কি ‘মাতোশ্রী’ বলতে তাকেই বোঝাতে চেয়েছেন। তারই রহস্য সমাধানে আয়কর দফতর। শিবসেনা নেতা এবং বৃহন্মুম্বই পুর নিগমের স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান যশবন্ত যাদব যদিও তেমন কোনও যোগের কথা অস্বীকার করেছেন।
শিবসেনা নেতা এবং বৃহন্মুম্বই পুর নিগমের স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান যশবন্ত যাদব । ফাইল ছবি
আয়কর দফতরের তল্লাশির সময় শিবসেনা নেতা যশবন্ত যাদবের অফিস থেকে একটি ডায়েরি উদ্ধার হয়েছে। সেই ডায়েরিতে লেখা দু’টি লেনদেন ঘিরে রহস্য তৈরি হয়েছে। ওই দু’টি লেনদেনের একটিতে লেখা আছে ৫০ লক্ষ টাকার ঘড়ি কেনা হয়েছে। অন্য একটি হিসাবে লেখা হয়েছে ২ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে ‘মাতোশ্রী’-র নামে । এই ‘মাতোশ্রী’ কে? তারই রহস্য সমাধানের চেষ্টায় আয়কর দফতর।
কারণ, মুম্বইয়ের বান্দ্রায় ঠাকরে বাড়ির (মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের পারিবারিক বাড়ির) নাম মাতোশ্রী। যশবন্ত কি ‘মাতোশ্রী’ বলতে তাকেই বোঝাতে চেয়েছেন। তারই রহস্য সমাধানে আয়কর দফতর। শিবসেনা নেতা এবং বৃহন্মুম্বই পুর নিগমের স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান যশবন্ত যাদব যদিও তেমন কোনও যোগের কথা অস্বীকার করেছেন। তাঁর কথায়, ‘মাতোশ্রী’ আসলে তাঁর মা। ডায়েরিতে লেখা প্রথম লেনদেনের হিসাব হল তাঁর মার জন্মদিনে ঘড়ি বিতরণের। দ্বিতীয় দু’কোটি টাকা হিসাব হল গুডি পাডওয়ার (মারাঠা নববর্ষ) দিনে মায়ের স্মৃতিতে দেওয়া উপহার বিতরণের হিসাব।
যদিও আয়কর বিভাগ তাঁর এই যুক্তিতে মোটেই সন্তুষ্ট নয়। তাঁদের প্রশ্ন, এত টাকা কোথা থেকেই বা পেলেন যশবন্ত, সেই বিষয়টিও জানার চেষ্টা করছেন আধিকারিকরা।
যশবন্ত নিজে বৃহন্মুম্বই পুর নিগমের (বিএমসি) স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান এবং তাঁর স্ত্রী যামিনী যাদব মুম্বইয়ের বাইকুল্লা বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক। দু’জনেই যথেষ্ট ‘প্রভাবশালী’। তাই আয়কর বিভাগ মনে করছে এই লেনদেনের জাল অনেক দূর পর্যন্ত বিস্তৃত।
ইতিমধ্যে আয়কর বিভাগের নজরে এসেছে নিউজহক মাল্টিমিডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড নামে একটি ঠিকাদার সংস্থা। ওই সংস্থাটির মালিক বিমল অগ্রবাল। তাঁকেও যশবন্ত যাদব বিএমসি-র ৩০ কোটি টাকা মূল্যের একাধিক চুক্তি পাইয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। বিমলের থেকে বাইকুল্লায় ৩০টি ফ্ল্যাটও কিনেছিলেন শিবসেনা নেতা।