Manipur Violence

গুলি-গ্রেনেডে তপ্ত মণিপুর, পুলিশের দুই কমান্ডো নিহত

সীমান্ত শহর মোরেতে আসাম রাইফেলস, গোর্খা রেজিমেন্ট, বিএসএফ, স্পেশাল কমান্ডো বাহিনী, রিজার্ভ ব্যাটেলিয়ান ও মণিপুর রাইফেলস একযোগে জঙ্গি হামলার মোকাবিলা করছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গুয়াহাটি শেষ আপডেট: ১৮ জানুয়ারি ২০২৪ ০৮:৫৫
Share:

—প্রতীকী ছবি।

বুধবার সকাল থেকে আবার রণক্ষেত্র মণিপুরের মোরে। এখনও পর্যন্ত প্রাণ গিয়েছে পুলিশের দুই কমান্ডোর। পরিস্থিতি মোকাবিলায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে হেলিকপ্টার চেয়েছে মণিপুর সরকার।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রের খবর, আজ ভোর ৪টে নাগাদ কোংডং লাইরেম্বি দেবী মন্দিরের কাছে ঘুমিয়ে থাকা রিজার্ভ ব্যাটালিয়ানের জওয়ানদের লক্ষ্য করে গুলি চালায় কুকি জঙ্গিরা। ঘটনাস্থলেই মারা যান পুলিশের পোশাক পরা ওয়াংখেম সমরজিৎ মিতেই। কুকিরা দাবি করে সমরজিৎ আসলে ধরা দেওয়া ইউএনএলএফ জঙ্গি, পুলিশ যাদের সামনে রেখে নিজেরা আড়ালে থাকে। তবে রাতে পুলিশ জানিয়েছে, কুকিদের দাবি মিথ্যা। নিহত সমরজিৎ রিজার্ভ ব্যাটালিয়নের রাইফেলম্যান। গুলির লড়াইয়ে মারা যান পুলিশের আর এক কমান্ডো তাখেল্লাম্বাম শৈলেশ্বর। গুলিবিদ্ধ হয়ে জখম হন আরও ৩ পুলিশ। ঘটনাস্থলে যাওয়ার চেষ্টা করলে কেন্দ্রীয় বাহিনীর বুলেটপ্রুফ ক্যাসপার গাড়ির পথ আটকে দেওয়া হয়। পরে চিকিম গ্রামে পাহাড়ের মাথা থেকে জঙ্গিরা নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ্য করে গ্রেনেড ছোড়ে। চলতে থাকে গুলি। আসাম রাইফেলস তাদের বুলেটপ্রুফ গাড়ি দিয়ে রিজ়ার্ভ বাহিনীর পোস্টকে আড়াল করে জঙ্গিদের লক্ষ্য করে পাল্টা গুলি চালাতে থাকে। পরের আক্রমণ হয় এসবিআই ব্যাঙ্কের বাড়ি লক্ষ্য করে। সেখানে স্পেশ্যাল কমান্ডো বাহিনীর এসপি ছিলেন। কানান ভেং থেকে ওই বাড়ি লক্ষ্য করে রকেট ছোড়া হয়। জখম হন রিজ়ার্ভ বাহিনীর এক জওয়ান। সীমান্ত শহর মোরেতে আসাম রাইফেলস, গোর্খা রেজিমেন্ট, বিএসএফ, স্পেশাল কমান্ডো বাহিনী, রিজার্ভ ব্যাটেলিয়ান ও মণিপুর রাইফেলস একযোগে জঙ্গি হামলার মোকাবিলা করছে।

এ দিকে ঘটনাস্থলে দ্রুত পৌঁছনোর চেষ্টা করার সময় মহিলারা আসাম রাইফেলসের কনভয়ের পথ আটকায়। কনভয়ের বুলেটপ্রুফ ট্রাকের ধাক্কায় এক মহিলার জখম হলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়। পরে নিরাপত্তা বাহিনীর পোশাক পরে থাকা মেইতেই জঙ্গি বাহিনীর গাড়ির ধাক্কায় আরও এক কুকি মহিলা জখম হন। মেইতেই বাহিনী সম্পূর্ণ সমরসজ্জায় কুকি এলাকায় ঢুকে ফাইচাম ভেং কলোনি, মাউন্ট মোরে স্কুলে আগুন লাগিয়ে দেয়।

Advertisement

মণিপুরে ফের অশান্তি ছড়ানোয়, জখমদের উদ্ধার করতে ও মোরেতে দ্রুত বাহিনী ও গুলিগোলা পাঠানোর জন্যে রাজ্য সরকার আজ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে একটি হেলিকপ্টার অন্তত ৭ দিনের জন্যে ইম্ফলে সেনা মোতায়েন করার অনুরোধপত্র পাঠানো হয়েছে। অন্য দিকে, মণিপুরে সরকারি অস্ত্রাগার থেকে অস্ত্র লুঠ হওয়ার তদন্তে নেমে সিবিআই আজ ৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দিয়েছে।

গত কাল মোরে থেকে প্রাক্তন সেনাকর্মী তথা মোরে ডিফেন্স ফোর্সের প্রধান ফিলিপ খোংসাই ও মৌসানের গ্রাম প্রধান তথা বিজেপি নেতা এইচ মাতেকে পুলিশ গ্রেফতার করেছিল। তার পরেই কুকিরা থানায় হানা দেয়, বিক্ষোভ শুরু হয়। কুকি যৌথ মঞ্চ হুমকি দিয়েছে, ওই ২ জনকে না ছাড়া হলে কুকি এলাকায় মেইতেই প্রশাসনকে কাজ করতে দেওয়া হবে না। আদালত ২ জনকে ৯ দিনের পুলিশি হেফাজতে পাঠিয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement