Farmers Protest

দিল্লি-হরিয়ানা সীমানায় ইন্টারনেট পরিষেবা ফিরিয়ে আনা হোক, সুপ্রিম কোর্টে আর্জি দুই আইনজীবীর

পিটিশনে বলা হয়েছে, এ ভাবে ইন্টারনেট বন্ধ করে সরকার কৃষকদের আটকানোর চেষ্টা করছে। সাংবাদিকদের সত্য ঘটনাটা সামনে আনতে বাধা দেওয়া হচ্ছে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ২৩:৩০
Share:

ফাইল চিত্র।

দিল্লি-হরিয়ানা সীমানায় কেন ইন্টারনেট বন্ধ রাখা হয়েছে তা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে একটি পিটিশন দাখিল করলেন সনপ্রীত সিংহ আজমানি এবং পুষ্পিন্দর সিংহ নামে দুই আইনজীবী। তাঁদের অভিযোগ, এ ভাবে ইন্টারনেট বন্ধ রেখে মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন করা হচ্ছে। এই পরিষেবা ফিরিয়ে আনতে কেন্দ্রকে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের আর্জি জানিয়েছেন তাঁরা।

Advertisement

পিটিশনে বলা হয়েছে, এ ভাবে ইন্টারনেট বন্ধ করে সরকার কৃষকদের আটকানোর চেষ্টা করছে। সাংবাদিকদের সত্য ঘটনাটা সামনে আনতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। আরও বলা হয়েছে, এই পরিষেবা বন্ধ করে মৌলিক অধিকারের উপর আঘাত হানার চেষ্টা চলছে। গোটা শিখ সম্প্রদায়কে দোষ দেওয়া হচ্ছে। কিছু সংবাদমাধ্যম তাদের কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করছে। এবং ওই সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়ানোর একটা প্রচেষ্টা চলছে।

ইন্টারনেট পরিষেবা ফিরিয়ে দেওয়ার আর্জি জানানোর পাশাপাশি কৃষকদের রুখতে পুলিশ প্রশাসন যে রাস্তায় পেরেক পুঁতে রেখেছে তা-ও তুলে নিতে সরকারকে নির্দেশ দেওয়ার জন্য আর্জি জানিয়েছেন ওই দুই আইনজীবী।
২৬ জানুয়ারি কৃষকদের ট্র্যাক্টর র‌্যালির ঘটনাকে কেন্দ্র করে হিংসা ছড়িয়েছিল দিল্লিতে। এক কৃষকের মৃত্যু হয় ট্র্যাক্টর উল্টে। পিটিশনে ওই কৃষকের মৃত্যু নিয়েও তদন্তের আর্জি জানানো হয়েছে।

Advertisement

শনিবার দেশ জুড়ে তিন ঘণ্টার ‘চাক্কা জ্যাম’ ডাক দিয়েছিল কৃষক সংগঠনগুলো। পরিস্থিতি যাতে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে না যায়, তাই রাজধানীর তিন সীমানা গাজিপুর, টিকরি এবং সিঙ্ঘুকে নিরাপত্তার বলয়ে মুড়ে ফেলা হয়। বন্ধ করে দেওয়া হয় ইন্টারনেট পরিষেবা। এর আগেও ওই তিন জায়গায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে এক সরকারি সূত্র জানিয়েছে, সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা স্বার্থে এবং কোনও রকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

শনিবার উত্তর ভারতের এক্সপ্রেসওয়েগুলো অবরোধ করেন কৃষকরা। কৃষক নেতা রাকেশ টিকায়েত হুঁশিয়ারি দেন, “আমাদের দাবি না মানা পর্যন্ত বাড়ি ফিরব না।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement