জালিস আনসারি
‘নিখোঁজ’ হয়ে যাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই উত্তরপ্রদেশে পুলিশের জালে ধরা পড়ল ভারতে ৫০টি বিস্ফোরণের ঘটনায় অভিযুক্ত এবং রাজস্থানে নাশকতার একাধিক ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত জালিস আনসারি ওরফে ‘ডক্টর বম্ব’। অজমের সেন্ট্রাল জেলে বন্দি ৬৮ বছর বয়সি জালিস সম্প্রতি ২১ দিনের প্যারোলে ছাড়া পেয়েছিল। গত কাল তার উধাও হয়ে যাওয়ার খবর মিলতেই তল্লাশি শুরু করে মহারাষ্ট্র সন্ত্রাসদমন স্কোয়াড ও মুম্বই পুলিশের অপরাধদমন শাখা। আজ ভোরে কানপুর থেকে ধরা হয় জালিসকে।
উত্তরপ্রদেশের ডিজি ওপি সিংহ জানিয়েছেন, শুক্রবার কানপুরে একটি মসজিদ থেকে বেরোনোর সময়ে জালিসকে হাতেনাতে ধরে পুলিশ। সেখান থেকে বেরিয়ে রেল স্টেশনের দিকে রওনা হচ্ছিল সে। মনে করা হচ্ছে, আর একটু সময় পেলেই নেপালে চম্পট দিত ‘ডক্টর বম্ব’। ডিজি বলেছেন, ‘‘জালিসের গ্রেফতার উত্তরপ্রদেশ পুলিশের বিরাট সাফল্য।’’
পুলিশ সূত্রের খবর, প্যারোলে ছাড়া পাওয়ার পরে প্রতি দিন সকাল সাড়ে ১০টা থেকে ১২টার মধ্যে আগরিপাড়া থানায় হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল জালিসকে। বৃহস্পতিবার নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে থানায় হাজিরা দেয়নি সে। ওই দিনই দুপুরে তার ছেলে বাবার নামে নিখোঁজ ডায়েরি করেন। তিনি জানান, ভোরে ঘুম থেকে ওঠার পরে মসজিদে যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বেরোয় জালিস। তার পর আর বাড়ি ফেরেননি। জালিসকে গ্রেফতার করে আজ লখনউয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
উত্তরপ্রদেশের সন্ত কবীর নগরের বাসিন্দা জালিস এমবিবিএস ডিগ্রিধারী। সিমি, ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের মতো জঙ্গি সংগঠনের সদস্য ছিল সে। জালিস ছিল বোমা তৈরিতে সিদ্ধহস্ত। যে কারণে অপরাধ জগতে সে পরিচিত ছিল ‘ডক্টর বম্ব’ নামে। দেশ জুড়ে কম করে ৫০টি বিস্ফোরণের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। ১৯৯৩ সালে ৫ এবং ৬ ডিসেম্বর রাজস্থানের ছ’টি জায়গায় একাধিক ট্রেনে বিস্ফোরণ ঘটানোর অভিযোগে যাবজ্জীবন সাজা হয় তার। ২০০৮ সালে মুম্বই বিস্ফোরণে জড়িত থাকার অভিযোগে ২০১১ সালে তাকে জেরা করে এনআইএ।