— ফাইল চিত্র
কর্নাটক, মধ্যপ্রদেশের ছায়া কি এ বার গুজরাত বিধানসভাতেও পড়তে চলেছে? হাত-শিবিরের আশঙ্কা বাড়িয়ে রাজ্যসভা নির্বাচনের মুখেই গুজরাত বিধানসভা থেকে ইস্তফা দিয়ে বসেছেন তিন কংগ্রেস বিধায়ক। আগাম সতর্কতা হিসাবে ইতিমধ্যেই ১৯ বিধায়ককে রাজস্থআনের একটি রিসর্টে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
কংগ্রেসের একটি সূত্র বলছে, প্রাথমিক ভাবে ২৬ জন বিধায়ককে রাজস্থানের মাউন্ট আবুর নিকটবর্তী ‘ওয়াইল্ড উইন্ডস’ নামের ওই রিসর্টে রেখে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কংগ্রেস নেতৃত্ব মনে করছে, যেহেতু রাজস্থান কংগ্রেস শাসিত তাই সেখানে নিরাপদেই থাকবেন কংগ্রেস বিধায়করা। কংগ্রেস শিবিরের অভিযোগ, বিধায়কদের কাছে টানতে টোপ দিচ্ছে বিজেপি। পদ্ম-শিবিরের বিরুদ্ধে বিধায়ক কেনাবেচার অভিযোগ তুলেছে তারা। কংগ্রেসের অনেক বিধায়ককেই বিভিন্ন রিসর্টে রেখে দেওয়া হয়েছে। সৌরাষ্ট্রের এক দল বিধায়ককে রাজকোটের ‘নীল সিটি’ নামে একটি রিসর্টে রেখে দেওয়া হয়েছে। আবার কিছু বিধায়ককে আনন্দের কাছে একটি রিসর্টে রেখে দেওয়া হয়েছে।
১৯ জুন দেশের ২৪টি রাজ্যসভা আসনে ভোট হওয়ার কথা। এর মধ্যে চারটি করে আসন গুজরাত, অন্ধ্রপ্রদেশ ও কর্নাটক থেকে। তিনটি করে আসন রাজস্থান ও মধ্যপ্রদেশ থেকে এবং দু’টি আসন ঝাড়খণ্ড ও একটি করে আসনে ভোট হবে মণিপুর, মেঘালয় ও অরুণাচল প্রদেশ ও মিজোরামে। গুজরাতে চারটি আসনে কংগ্রেস দু’জন ও বিজেপি তিন জন প্রার্থীকে দাঁড় করানোর সিদ্ধান্ত নেয়। গুজরাতে মোট ১৮২টি আসনের মধ্যে বিজেপির রয়েছে ১০৩ জন বিধায়ক। অর্থাৎ রাজ্যসভায় এক জন প্রার্থীকে যেতে প্রয়োজন ৩৪টি ভোট। গুজরাতে কংগ্রেসের হাতে ৬৫ বিধায়ক। কিন্তু গত মার্চেই ইস্তফা দেন চার বিধায়ক। এর পর দল ছাড়েন আরও তিন জন। অর্থাৎ মোট সাত জন বিধায়ক কংগ্রেস থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে কোনওরকম ঝুঁকি নিতে চাইছে না কংগ্রেস। তাই বাকি বিধায়কদের কার্যত ‘নজরবন্দি’ করে বিভিন্ন রিসর্টে রেখে দেওয়া হয়েছে। তবে যাঁরা ইস্তফা দিয়েছেন তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও ভাবছে কংগ্রেস।
আরও পড়ুন: লকডাউন শিথিল পর্বের দ্বিতীয় দফা শুরু, বেশি ভয় নিয়েই আজ বেশি কাজে
বর্তমানে যে সমীকরণ তৈরি হয়েছে তাতে বেশ চাপে গুজরাত কংগ্রেস। সাম্প্রতিক অঙ্কের উপর দাঁড়িয়ে রাজ্যসভায় তারা একটি মাত্র আসনই নিশ্চিত করতে পেরেছে বলে মনে করা হচ্ছে। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, এই পরিস্থিতিতে লাভবান হতে চলেছে বিজেপি। কারণ, এই পরিস্থিতিতে রাজ্যসভায় গুজরাতের মোট চারটি আসনের বাকি তিনটি তাদের ঝুলিতে যাওয়া নিশ্চিত বলেই মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: আনলক নিয়ে প্রশ্ন, সংক্রমণে রেকর্ড রোজই