Man eater wolves of Bahraich

ফের গভীর রাতে কিশোরকে টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা, নেকড়ের আতঙ্কে এখনও তটস্থ বহরাইচ

গত জুলাই মাস থেকেই মানুষখেকো নেকড়ের হামলায় তটস্থ বহরাইচ। সরকারি হিসাবে, নেকড়ের আক্রমণে এখনও পর্যন্ত অন্তত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। জখম আরও অনেকে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৩:১২
Share:

— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

এর মধ্যেই ধরা পড়েছে পাঁচটি মানুষখেকো নেকড়ে। কিন্তু আতঙ্ক কাটেনি উত্তরপ্রদেশের বহরাইচে। ষষ্ঠ তথা শেষ নেকড়েটির খোঁজে তল্লাশি অভিযান জারি রেখেছে বন দফতর। রবিবার রাতে ফের ঘরে ঢুকে ১৩ বছরের এক কিশোরকে ঘাড় কামড়ে টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করল ‘সে’।

Advertisement

রবিবার গভীর রাতে বহরাইচের মাহিষ তহসিলে নিজের ঘরের ছাদে ঘুমিয়ে ছিল ওই কিশোর। তখনই তাকে ঘাড় কামড়ে টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে নেকড়েটি। গুরুতর জখম অবস্থায় ওই কিশোরকে বহরাইচ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।

গত জুলাই মাস থেকেই মানুষখেকো নেকড়ের হামলায় তটস্থ বহরাইচ। সরকারি হিসাব, নেকড়ের আক্রমণে এখনও পর্যন্ত অন্তত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। জখম আরও অনেকে। নেকড়ের আতঙ্কে সিঁটিয়ে রয়েছেন ৩৫টি গ্রামের মানুষ। ইতিমধ্যে মানুষখেকোর দলকে ধরতে বিশাল আয়োজন করেছে বন দফতর। অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপারেশন ভেড়িয়া’। প্রথম দিকে স্পষ্ট ছিল না যে, এটি একটি নেকড়ের কাজ, না কি আরও অনেকে রয়েছে সেই দলে। পরে জানা যায়, একা নয়, ছ’টি নেকড়ের একটি দল এই হামলা চালাচ্ছে। এর পর বন দফতরের পাতা ফাঁদে একে একে ধরা পড়েছে পাঁচটি নেকড়ে। এখনও বাকি এক। তার তাণ্ডবে ঘুম উড়েছে গ্রামবাসীদের

Advertisement

বহরাইচে নেকড়ের দলের একের পর এক হামলাকে ‘বন্যপ্রাণী বিপর্যয়’ হিসাবে ঘোষণা করেছে যোগী আদিত্যনাথের সরকার। হামলায় মৃতদের পরিজনদের পাঁচ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা হয়েছে। জখমদের বিনামূল্যে জলাতঙ্কের টীকা দেওয়ারও ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে বহরাইচের বিভিন্ন জায়গায় পাহারা দেওয়া শুরু করেছেন বন দফতরের কর্মীরা। মানুষখেকো নেকড়েদের ধরতে ২৫টি দল গঠন করা হয়েছে। সেই দলে রয়েছেন ১৮ জন শার্প শুটার। যে এলাকাগুলিতে নেকড়ের হামলা হচ্ছে, সেখানে স্থানীয়দের নিরাপত্তার জন্য ২০০ জন পুলিশকর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। তবুও হামলা থামার নাম নেই। ষষ্ঠ নেকড়েটি ধরা না পড়া পর্যন্ত এখনই স্বস্তি ফিরছে না বহরাইচে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement