Rape

‘সম্মান’ প্রকল্পের মাঝেই মধ্যপ্রদেশে ৩ দফায় গণধর্ষণ ১৩ বছরের কিশোরীকে

মহিলাদের নিরাপত্তা সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে এই মুহূর্তে রাজ্যে ‘সম্মান’ প্রকল্প অভিযান চালাচ্ছে শিবরাজ সিংহ চৌহান সরকার। তার মধ্য়েই এই ঘটনা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ভোপাল শেষ আপডেট: ১৭ জানুয়ারি ২০২১ ১০:১৬
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

মধ্যপ্রদেশে ৩ দফায় মোট ৯ জনের গণধর্ষণের শিকার ১৩ বছরের কিশোরী। দফায় দফায় অপহরণ করে মেয়েটিকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। জঙ্গলের মধ্যে আটকে রেখে তার উপর নৃশংস অত্যাচার চালানো হয়। হুমকি দেওয়া হয় মেরে ফেলারও। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

Advertisement

মহিলাদের নিরাপত্তা সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে এই মুহূর্তে রাজ্যে দু’সপ্তাহব্যাপী ‘সম্মান’ প্রকল্প অভিযান চালাচ্ছে শিবরাজ সিংহ চৌহানের সরকার। তার মধ্যেই এই নৃশংস ঘটনায় শিউরে উঠেছে গোটা দেশ।

মধ্যপ্রদেশের উমেইরা জেলায় এই ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৪ জানুয়ারি এক পরিচিত মেয়েটিকে প্রথমে অপহরণ করেন। তার পর ৬ বন্ধুর সঙ্গে মিলে দু’দিন ধরে আটকে রেখে মেয়েটিকে গণধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ। ৫ জানুয়ারি মেয়েটিকে ছেড়ে দেওয়া হলেও, এ নিয়ে কারও কাছে মুখ খুললে খুন করে ফেলা হবে বলে হুমকি দেওয়া হয় তাকে।

Advertisement

আরও পড়ুন: কো-উইন অ্যাপে সমস্যা, ১৮ তারিখ পর্যন্ত টিকাকরণ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত মহারাষ্ট্রে​

এর ছ’দিনের মাথায় ১১ জানুয়ারি ফের মেয়েটিকে অপহরণ করা হয় বলে অভিযোগ। সে বার ৩ জন মিলে মেয়েটিকে ধর্ষণ করেন বলে জানা গিয়েছে। জঙ্গলের মধ্যে মেয়েটিকে বন্দি করে রাখা হয়। আটকে রাখা হয় রাস্তার ধারের একটি খাবারের দোকানে।

কিন্তু এখানেই নৃশংসতার শেষ নয়। সেখান থেকে ছাড়া পাওয়ার পর রাস্তায় দুই ট্রাক চালকের হাতে পড়ে নির্যাতিতা। তাঁরাও মেয়েটিকে অপহরণ করে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ। কোনও রকমে সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হয় ওই কিশোরী। শুক্রবার ভোরে নিজের বাড়িতে ফিরে আসে সে। বাড়ির লোকজনই পরে পুলিশে খবর দেন।

মেয়েটির বয়ানের ভিত্তিতে এর পর তদন্তে নামে পুলিশ। এখনও পর্যন্ত ৬ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে বিভিন্ন জায়গায়। রাজ্য পুলিশের মুখপাত্র অরবিন্দ তিওয়ারি সংবাদ মাধ্যমে বলেন, ‘‘যৌন নির্যাতন, শিশু সুরক্ষা আইন (পকসো) এবং অন্যান্য ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে। এখনও পর্যন্ত ৬ জনের নাগাল পাওয়া গিয়েছে।’’

আরও পড়ুন: রোগী কল্যাণ সমিতির সদস্য! বিতর্ক উস্কে দিয়ে প্রতিষেধক বিধায়কদের

গত ৬ দিনে এই নিয়ে মধ্যপ্রদেশ থেকে ৪টি এমন নৃশংস ঘটনা সামনে এল। গত ৯ জানুয়ারি সিধি জেলায় ৪৮ বছরের এক মহিলাকে ৫ জন মিলে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ। ধর্ষণের পর নির্যাতিতার যৌনাঙ্গে লোহার রড ঢুকিয়ে দেওয়া হয় বলে জানা গিয়েছে। তার দু’দিন পর ১১ জানুয়ারি খান্ডওয়ায় ১৩ বছরের একটি মেয়েকে অপহরণ করে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ ও খুন করে তারই প্রতিবেশী যুবক। ১২ জানুয়ারি উজ্জ্বয়িনীতে পরকীয়ায় যুক্ত সন্দেহে এক মহিলার উপর স্বামী ও শ্বশুর মিলে অত্যাচার চালিয়েছেন বলে জানা যায়। পরিবারের মহিলা সদস্যরাও তাতে যুক্ত ছিলেন বলে অভিযোগ। ধারালো অস্ত্র দিয়ে ওই মহিলার নাক ও স্তন কেটে দেওয়া হয়। এই মুহূর্তে ইনদওরের একটি হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন ওই মহিলা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement