Citizenship Amendment Act

পুরনো আইনেই নাগরিকত্ব গুজরাতের ১৩ পাকিস্তানিকে

সংবাদ প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, মোরবীর জেলাশাসকের দফতর থেকে এই ১৩ জনকে আজ নাগরিকত্বের শংসাপত্র দেওয়া হয়। সেখানে বিধায়ক কান্তিলালও ছিলেন।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

মোরবী শেষ আপডেট: ১৫ মার্চ ২০২৪ ০৭:০৭
Share:

ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া হল এই পাকিস্তানি তরুণীদের। ছবি সমাজমাধ্যম থেকে।

সিএএ কার্যকর হওয়ার দু’দিনের মধ্যেই পাকিস্তান থেকে আসা ১৩ জন হিন্দু শরণার্থীকে পুরনো নাগরিকত্ব আইনে ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া হল। এঁরা গুজরাতের মোরবীর বাসিন্দা বলে এক্স হ্যান্ডলে স্থানীয় বিধায়ক কান্তিলাল অম্রুতিয়ার পোস্ট করা একটি সংবাদ প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে।

Advertisement

বস্তুত, খবরটি প্রকাশের পরেই সিএএ-তে ভিন্‌দেশিদের নাগরিকত্ব দেওয়া শুরু হয়ে গিয়েছে বলে জল্পনা শুরু হয়। যদিও সিএএ-তে নির্দিষ্ট পোর্টালে তথ্য আপলোড এবং তা যাচাইয়ের প্রক্রিয়া যথেষ্টই সময়সাপেক্ষ। সংবাদ প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, পুরনো আইনেই নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে এই ১৩ জনকে। অর্থাৎ এ ক্ষেত্রে নতুন সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ)-এর কোনও ভূমিকা নেই। তবে ভোটের মুখে নরেন্দ্র মোদীর রাজ্যের এই ঘোষণা অবশ্যই তাৎপর্যপূর্ণ।

সংবাদ প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, মোরবীর জেলাশাসকের দফতর থেকে এই ১৩ জনকে আজ নাগরিকত্বের শংসাপত্র দেওয়া হয়। সেখানে বিধায়ক কান্তিলালও ছিলেন। প্রকাশিত ছবিতে তাঁদের সঙ্গে নাগরিকত্বের শংসাপত্র হাতে একাধিক বালিকা-সহ বেশ কয়েক জন মহিলাকে দেখা যাচ্ছে। জেলাশাসক কে বি জাভেরি জানান, পাকিস্তান থেকে চলে আসতে বাধ্য হওয়া বেশ কিছু পরিবার মোরবীতে বসবাস করছে। স্থানীয় সূত্রের বক্তব্য, মোরবীর বাসিন্দা ১০৯৫ জন পাক শরণার্থীর মধ্যে ৯৫ জন আগেই ভারতীয় নাগরিকত্ব পেয়েছিলেন। তার পরে নাগরিকত্ব চেয়ে করা আরও ১০৯ জনের আবেদন এত দিন ঝুলে ছিল। এর মধ্য থেকেই ১৩ জন পাক হিন্দুকে আজ নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের বক্তব্য, গুজরাতের আরও কিছু জেলায় এমন পাক নাগরিকদের বসতি রয়েছে। ২০১৪ সালে মোদী ক্ষমতায় আসার পরে এঁরা অনেকে প্যান কার্ডও পেয়েছেন। তবে ভারতীয় নাগরিক হননি।

Advertisement

আজ দিল্লির রোহিণী, আদর্শ নগর ইত্যাদি এলাকায় বসবাস করা হিন্দু ও শিখ শরণার্থীদের একাংশ মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়ালের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাতে তাঁর বাসভবনের দিকে রওনা হলে পুলিশ তাঁদের বাধা দেয়। সিএএ চালু হওয়ার পরে কেজরীওয়াল কেন্দ্রের উদ্দেশে প্রশ্ন ছুড়েছিলেন, ‘‘আপনারা কি পাক অনুপ্রবেশকারীদের চাকরি ও রেশন কার্ড দেবেন?’’ এই মন্তব্যের জন্য তাঁকে ক্ষমা চাইতে হবে বলে আজ বিক্ষোভকারীরা দাবি করেন। কেজরী পরে এক্স হ্যান্ডলে লেখেন, ‘এঁদের এত সাহস, আমাদের দেশে ঢুকে বিপুল জনমত দ্বারা নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রীকে ক্ষমা চাইতে বলছেন? আর বিজেপি এঁদের সমর্থন করছে?’ কেজরীর এই মন্তব্যেও ভোট-রাজনীতির গন্ধ পাচ্ছেন অনেকে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement