—প্রতীকী ছবি।
ভোটের ঠিক আগে ছত্তীসগঢ়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে প্রায় ১২ ঘণ্টার গুলিযুদ্ধে অন্তত ১৩ জন মাওবাদী নিহত হয়েছেন বলে দাবি পুলিশের। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন তিন জন মহিলা। পুলিশ জানিয়েছে, মঙ্গলবার সকাল ৬টা নাগাদ বীজাপুর জেলার গঙ্গালুর থানা এলাকার গভীর জঙ্গলে অভিযান হয়। বিস্ফোরণে এক কমান্ডোর জখম হওয়ার খবরও মিলেছে। ছত্তীসগঢ় পুলিশের আইজি পি সুন্দররাজন জানান, নিহতদের নাম-পরিচয় এখনও জানা যায়নি। মনে করা হচ্ছে, পিপল’স লিবারেশন গেরিলা আর্মির (পিএলজিএ) দু’নম্বর কোম্পানির দু’নম্বর প্ল্যাটুনের সদস্য তাঁরা। প্রচুর গুলিগোলা এবং অস্ত্রও উদ্ধার হয়েছে সংঘর্ষস্থল থেকে।
বস্তার লোকসভা ক্ষেত্রের মধ্যে পড়ে বীজাপুর। প্রথম দফায়, আগামী ১৯ এপ্রিল সেখানে ভোটগ্রহণ। পিএলজিএ-র দু’নম্বর কোপ্পানি এবং ১১, ১২ ও ১৩ নম্বর প্ল্যাটুনের গভীর জঙ্গলে গতিবিধির খবর গোপন সূত্রে পেয়ে সোমবার গভীর রাত থেকে করচোলি এবং লেন্দ্রা গ্রামের কাছে ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড, সিআরপি, এসটিএফ এবং কোবরা-র কমান্ডোরা পৌঁছন। মঙ্গলবার ভোরে শুরু হয় অভিযান। বাহিনীর সঙ্গে মাওবাদীদের গুলিযুদ্ধ শুরু হয় ভোর পৌনে ৫টা নাগাদ। সেই সময়েই মাওবাদীদের পুঁতে রাখা আইইডি বিস্ফোরণে এক কোবরা জওয়ান জখম হন।
প্রায় ১২ ঘণ্টা পরে, বিকেল ৫টা নাগাদ গুলিযুদ্ধ থামলে প্রথমে চারটি দেহ উদ্ধার করে যৌথ বাহিনী। মঙ্গলবার সারা দিনে উদ্ধার হয় এক মহিলা-সহ দশ জনের দেহ। আজ ভোরে সংঘর্ষের এলাকার গভীর জঙ্গলে পাওয়া গিয়েছে আরও তিনটি দেহ। মিলেছে প্রচুর অস্ত্র, বিস্ফোরক, এবং ল্যাপটপ, সোলার প্লেট ও নিত্যপ্রয়োজনের নানা কিছু।
আইজি (বস্তার) জানান, যৌথ বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষের আলাদা আলাদা ঘটনায় চলতি বছর এ পর্যন্ত ৪৬ জন মাওবাদী নিহত হয়েছেন। তার মধ্যে ২৭ জন বীজাপুর জেলাতেই। এর পাশাপাশি, জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ১৮১ জন মাওবাদীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আত্মসমর্পণ করেছেন ১২০ জন। মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণু দেও সাই আজ নিরাপত্তাবাহিনীকে কুর্নিশ জানিয়ে দাবি করেছেন, গত বছর ডিসেম্বরে রাজ্যে বিজেপির সরকার আসার পরে মাওবাদীদের বিরুদ্ধে অভিযান আরও জোরদার হয়েছে।