— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
স্কুলের আয়োজিত ভুয়ো ন্যাশনাল ক্যাডেট কর্প্স (এনসিসি) ক্যাম্পে গিয়ে যৌন হেনস্থার শিকার অন্তত ১৩ জন ছাত্রী। তামিলনাড়ুর কৃষ্ণগিরিতে এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠেছে। ইতিমধ্যে প্রশিক্ষণ শিবিরের অধ্যক্ষ, স্কুলের প্রধান শিক্ষক, একই স্কুলের আরও দুই শিক্ষক এবং এক সাংবাদিক-সহ মোট ১১ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, তামিলনাড়ুর একটি বেসরকারি স্কুলে ওই এনসিসি প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল। আয়োজকেরা স্কুল কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিলেন, এই জাতীয় শিবিরের আয়োজন করলে তাঁদের স্কুল একটি এনসিসি ইউনিটের মর্যাদা অর্জন করবে। অভিযোগ, সে কথা মেনে নিয়ে কিছু খতিয়ে না দেখেই ওই ক্যাম্পের অনুমোদন দিয়ে দেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। চলতি মাসের শরুতে তিন দিনের ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়েছিল। তাতে ১৭ জন ছাত্রী-সহ মোট ৪১ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। ওই তিন দিন স্কুলের পেক্ষাগৃহের দোতলায় ছাত্রীদের রাতে থাকার ব্যবস্থা করা হয়। ছাত্রদের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছিল এক তলার ঘরগুলি। অভিযোগ, ক্যাম্পের তদারকির জন্য স্কুলের কোনও শিক্ষককে নিয়োগ করা হয়নি। স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে ছিলেন না কোনও কর্মীও।
অভিযোগ, পেক্ষাগৃহ থেকে বাইরে ডেকে নিয়ে গিয়ে ছাত্রীদের যৌন হেনস্থা করা হয়েছে। জেলা পুলিশ সুপার সংবাদমাধ্যমকে জানাচ্ছেন, যৌন হেনস্থার ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পর তা পুলিশকে জানানোর পরিবর্তে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে তৎপর হয়ে ওঠেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। এর পরেই পুলিশের দ্বারস্থ হয় নিগৃহীতাদের পরিবার। পুলিশ সূত্র বলছে, তদন্ত চলছে। আয়োজকরা অন্যান্য স্কুলগুলিতেও একই রকম ক্যাম্পের আয়োজন করেছিল কি না তা-ও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে নির্যাতিতা ছাত্রীদের ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পকসো আইনে দায়ের হয়েছে মামলা। ঘটনায় তৎপর জেলা শিশু কল্যাণ কমিটিও।