এই বাড়িতেই লুকিয়ে ছিল সইফুল। ছবি: সংগৃহীত।
অভিযান শেষ। আর ১২ ঘণ্টার সেই অভিযান শেষে পুলিশ জানাল, খতম করা গিয়েছে এক আইএস জঙ্গিকে। পুলিশের সন্ত্রাস দমন শাখা (এটিএস) সূত্রে খবর, বুধবার ভোর ৩টে নাগাদ লখনউয়ের ঠাকুরগঞ্জ এলাকার একটি বাড়ি থেকে সইফুল নামে ওই জঙ্গির মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশের দাবি, আইএস-এর সক্রিয় সদস্য ছিল সে। ঘটনাস্থল থেকে আটটি পিস্তল, ৬৫০ রাউন্ড গোলাবারুদ, প্রচুর পরিমাণ বিস্ফোরক, সোনা, টাকাপয়সা, সিম কার্ড, পাসপোর্ট, ট্রেনের টাইমটেবল, ৫০ রাউন্ড কার্তুজের খোল-সহ আইএসের পতাকাও উদ্ধার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন
কেন দেরি হচ্ছে? যাত্রীদের মিথ্যে বললেন পাইলট!
উত্তরপ্রদেশে শেষ দফার নির্বাচনের আগের দিন মঙ্গলবার দুপুরেই ঠাকুরগঞ্জের হাজি কলোনিতে ওই বাড়িতে হানা দেন এটিএস কম্যান্ডোরা। সইফুল নামেই ওই সন্দেহভাজন জঙ্গিকে জীবিত অবস্থায় পাকড়াও করতে চেষ্টার কসুর করেননি তাঁরা। মধ্যপ্রদেশের জাবরি স্টেশনের কাছে ভোপাল-উজ্জয়িনী প্যাসেঞ্জার ট্রেনে বিস্ফোরণ ঘটানোর অভিযোগে সন্দেহভাজন ওই জঙ্গির খোঁজে সেখানে হাজির হয়েছিল এটিএস। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হয়েছিল, ওই বাড়িতে দু’জন জঙ্গি লুকিয়ে রয়েছে। তবে উত্তরপ্রদেশের অতিরিক্ত আইজি (আইনশৃঙ্খলা) দলজিৎ চৌধুরী বলেন, “দরজা খোলার পর ভিতরে গিয়ে দেখা যায়, অস্ত্রশস্ত্র-সহ মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে এক জন সন্দেহভাজন।” এটিএস সূত্রের দাবি, ট্রেন বিস্ফোরণে ব্যবহৃত বোমা মজুত ছিল ওই বাড়িতে।
ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার অস্ত্রশস্ত্র ও বিস্ফোরক। ছবি: সংগৃহীত।
উত্তরপ্রদেশ এটিএসের আইজি অসীম অরুণ জানিয়েছেন, অভিযানের শুরুতেই ওই বাড়ির ছাদে ড্রিল মেশিন দিয়ে গর্ত করে একটি মাইক্রোটিউব ক্যামেরা ঢুকিয়ে দেন তাঁরা। তাতে দেখা যায়, ভিতরে দু’টি বন্দুক পড়ে রয়েছে। তা দেখেই মনে করা হয়েছিল, ভিতরে দু’জন সন্দেহভআজন জঙ্গি রয়েছে। প্রাথমিক ভাবে সইফুলকে আত্মসমর্পণ করতে বলে এটিএস কম্যান্ডোরা। এমনকী, সইফুলের ভাইয়ের সঙ্গেও তার কথা বলার সুযোগ করে দেয়। তাতেও কোনও কাজ না হওয়ায় সইফুলকে বাইরে বের করতে চিলি বোমা ও কাঁদানে গ্যাস ছোড়া হয়। তবে এটিএসের সব চেষ্টাই বিফলে যায়। এর পরই বাড়ির ভিতরে ঢোকার সিদ্ধান্ত নেন কম্যান্ডোরা। অসীম অরুণ বলেন, “ভিতর থেকে গুলি চালাতে শুরু করে সইফুল। এটিএস কম্যান্ডোরাও তার পাল্টা জবাব দেন। সইফুল্লার পিঠে একটি ব্যাগ ছিল। তাতে বিস্ফোরক থাকতে পারে। সে কারণে বম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াডকেও ডাকা হয়েছে।” অরুণ আরও বলেন, “সইফুলকে জীবিত ধরা গেলে তার থেকে অনেক তথ্য মিলত বটে, তবে আমাদের কাছে কোনও উপায় ছিল না।” তিনি জানিয়েছেন, আইএসের ‘লখনউ-কানপুর খোরাসান’ মডিউলের সক্রিয় সদস্য ছিল সইফুল।
আরও পড়ুন