সীমা-সংঘাতকে ঘিরে আজও উত্তপ্ত অসম-নাগাল্যান্ড। সরকারি হিসেবে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১। এখনও অনেকে নিখোঁজ। নাগাল্যান্ডের বিরুদ্ধে শুরু হয়েছে অর্থনৈতিক অবরোধ। চলছে বন্ধ। পরিস্থিতি সামলাতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ।
আজ মুখ্যমন্ত্রী জানান, নাগা হামলাকারীরা অন্তত ২০০ বাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে। ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন ১০ হাজার মানুষ। পুলিশ জানায়, নাগারা অসমের শূন্য গ্রামগুলি থেকে গবাদি পশু লুঠ করে নিয়ে যাচ্ছিল। খবর পেয়ে গত কাল ত্রাণ শিবির থেকে গ্রামবাসীরা গ্রামে যান। তখন ফের সশস্ত্র নাগারা গুলি চালায়। তাতে বেশ কিছু গ্রামবাসী জখম হন। গত কাল রাতে উরিয়ামঘাট সীমানা থেকে এক গর্ভবতী মহিলা-সহ ৬ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। সব মিলিয়ে নিহতের সংখ্যা সরকারি হিসেবে ১১। স্থানীয় মতে সংখ্যাটি আরও বেশি। এলাকায় নৈশ কার্ফু জারি করা হয়েছে।
তরুণ গগৈ এদিন বিবৃতি দিয়ে জানান, তিনি সীমানা বিবাদ সামলাতে প্রধানমন্ত্রীকে ব্যক্তিগত ভাবে উদ্যোগী হওয়ার জন্য আর্জি জানিয়েছেন। নরেন্দ্র মোদীকে লেখা চিঠিতে তিনি সীমানায় আরও ১০ কোম্পানি আধা-সেনা পাঠানো, জঙ্গিদের বিরুদ্ধে দ্রুত ও কড়া ব্যবস্থা নেওয়া, গ্রামে পিকেট বসানোর অনুরোধ করেছেন। তাঁর দাবি, এলাকাটি অসমের ভিতরেই। নাগা জঙ্গিরা এলাকা দখলের জন্য সেখানে হানা দিয়েছে। গগৈ, মোদীকে রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক স্তরে বৈঠক ডেকে সমস্যা সমাধানের আর্জি জানিয়েছেন। গগৈয়ের অভিযোগ, সংঘর্ষবিরতিতে থাকা নাগা জঙ্গিরা আধুনিক রাইফেল নিয়ে হামলায় নেতৃত্ব দিচ্ছে। পরিস্থিতি সামলাতে ব্যর্থ হওয়ার জন্য এক জেমি নাগা কম্যান্ড্যান্টের তত্ত্বাবধানে থাকা কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীকে দায়ী করে নরেন্দ্র মোদীর কাছে অভিযোগও জানিয়েছেন। সীমা-সমস্যা নিয়ে নাগাল্যান্ডের ভান্ডারির বিধায়ক এম কিকন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কিরেন রিজিজুর সঙ্গে দেখা করে, দুই রাজ্যের পুলিশের যৌথ তত্ত্বাবধানে ওই এলাকায় আধা-সেনা মোতায়েনের আর্জি জানিয়েছেন। এরই পাশাপাশি, আগামী ২১ অগস্ট গগৈ বিষয়টি নিয়ে নাগাল্যান্ডের মুখ্যমন্ত্রী টি আর জেলিয়াং-এর সঙ্গে বৈঠকে বসবেন।