বেঙ্গালুরুর পুরকর্তার বাড়ি থেকে উদ্ধার নগদ ও গয়না। ছবি: টুইটার।
কর্নাটকে ভোটের মুখে কোটি কোটি টাকা উদ্ধার করল লোকায়ুক্ত। আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তির মামলায় বেঙ্গালুরুর ‘বৃহৎ বেঙ্গালুরু মহানগর পালিকা’ (বিবিএমপি)-এর এক কর্তার একাধিক বাড়ি ও অফিসে হানা দেয় লোকায়ুক্ত। উদ্ধার হয় কয়েক কোটি টাকা এবং প্রচুর সোনাদানা।
বিবিএমপির শহর পরিকল্পনা বিভাগের অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর গঙ্গাধারাইয়া কেএলের বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা পড়েছিল। আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তির মামলায় সোমবার তল্লাশি অভিযানে নামে লোকায়ুক্ত। তাঁরা হানা দেন মোট ১৪টি জায়গায়। তার প্রতিটিই হয় গঙ্গাধারাইয়ার নিজের নামে অথবা তাঁর কোনও নিকটাত্মীয়ের নামে রয়েছে।
সূত্রের খবর, শুধু বসতবাড়িই নয়, গঙ্গাধারাইয়ার নামে রয়েছে দেড় কোটি টাকা বাজারমূল্যের পাঁচ একরের একটি কৃষিজমি। এ ছাড়া মল্লেশ্বরমে ৩ কোটি ৬৫ লক্ষ টাকা মূল্যের সম্পত্তি এবং দু’টি লকার। লকারের চাবি এখনও তদন্তকারীরা হাতে পাননি। ফলে দু’টি লকারে কী রাখা আছে তা জানা যাচ্ছে না। বাকি বাড়ি, অফিস এবং ফ্ল্যাট থেকে ১,৪৩১ গ্রাম সোনার গয়না, ৮ কেজি ৭০০ গ্রাম ওজনের রুপোর জিনিসপত্র, কিছু হিরে উদ্ধার হয়েছে। সম্মিলিত ভাবে যার বাজারমূল্য ৭৩ লক্ষ টাকা। এ ছাড়া ১ কোটি ৪৭ লক্ষ টাকা নগদ উদ্ধার হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে ১০ হাজার আমেরিকার ডলার, ১১৮০ আমিরশাহির দিরহাম এবং ৩৫ ইজিপ্টের মুদ্রা (ইজিপ্সিয়ান পাউন্ড)।
তদন্তকারীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, শুধু নগদ বা সোনাই নয়, তল্লাশিতে তাঁদের হাতে এসেছে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নথি। যা সাধারণ ভাবে এই পদমর্যাদার আধিকারিকের কাছে থাকার কথা নয়। তা হলে সেই নথি এল কোথা থেকে?
আগামী ১০ মে কর্নাটকে বিধানসভা ভোট। সেই ভোটে বেআইনি অর্থের রমরমা রুখতে ভোটের আগে নির্বাচন কমিশন নিয়ম করে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে। প্রায় প্রতিদিনই বিভিন্ন জায়গা থেকে উদ্ধার হচ্ছে বহু নগদ অর্থ। এই প্রেক্ষিতে লোকায়ুক্তের হানার তাৎপর্য বিপুল। তদন্তকারীরা খতিয়ে দেখছেন, এই বিপুল অর্থের উৎস কোথায়।