আপনি বিশেষ করে কোন পশুকে ভালবাসেন তার উপর নির্ভর করে আপনার সাবকনসাস ব্রেনের প্যাটার্ন কেমন, তার মানে আপনার নেচার বা স্বভাবের গড়নটা কেমন হবে। তিব্বতীয় লক্ষণশাস্ত্রে উল্লেখ আছে, কী ধরনের পশুর প্রতি আপনি বেশি আকৃষ্ট হলে কী ধরনের চরিত্রের অধিকারী হবেন। এখানে সে রকম কয়েকটি পশুর সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করা হল:
১) যারা কুকুরপ্রেমী: এরা মুক্ত এবং বিশ্বস্ত চরিত্রের মানুষ হয়ে থাকে। এদের ভিতর দুর্দান্ত অনুভূতি কাজ করে। যদিও এদের অনেককে বাইরে থেকে ‘কঠিন ও কঠোর’ বলে মনে হয়। বাস্তবে এরা ভদ্র ও কমনীয় স্বভাবের হয়ে থাকে।
২) যারা বিড়ালপ্রেমী: এরা চরিত্রগত ভাবে স্মার্ট স্বভাবের মানুষ এবং এদের চারপাশের মানুষ এদেরকে বেশ সাপোর্ট করে ও ভালবাসে। বিড়ালপ্রেমীরা স্বভাবের দিক থেকে বেশ ধৈর্যশীল হয়, ফলে এরা প্রায়শই এদের লক্ষ্যে উপনীত হয়ে থাকে।
৩) যারা বরাহপ্রেমী: বাইরে বরাহপ্রেমীদের যা-ই মনে হোক না কেন, এরা ভিতরে ভিতরে বেশ শৃঙ্খলাপরায়ণ হয়, তাই কোনও সমস্যায় পড়লে কী করতে হবে তা বেশ ভাল করেই জানে। যেখানে এরা বাস করে সেখানে এদেরকে সাহসী লোক হিসেবেই চেনে।
৪) যারা পন্ডাপ্রেমী: পন্ডাপ্রেমীদের তিব্বতীরা সৃজনশীল ও শিল্পী স্বভাবের মানুষ হিসেবেই চিনে থাকে। এরা স্বাধীনতায় বিশ্বাসী, এদের চলাফেরা দেখে অনেক সময় বোহেমিয়ান স্বভাবের মানুষ বলে মনে হয়। তবে যাই হোক, লোকে এদের ভাবপ্রবণ ও শিল্পীসুলভ চরিত্রকে সমাদর করে।
আরও পড়ুন: যে কোনও সময়ে দান করবেন না, মানুন এই নিয়মগুলি
৫) যারা সিংহপ্রেমী: সিংহপ্রেমীদের ভিতরে প্রচারে আসার জন্য উদগ্র বাসনা কাজ করে থাকে। এরা মানুষের মনোযোগ আকর্ষণের জন্য নানা রকম চেষ্টা চালিয়ে যায়। যে কোনও মূল্যে এরা সামনের সারিতে আসতে চায়।
৬) যারা অশ্বপ্রেমী: যে ভাবেই বিচার করা হোক না কেন অশ্বপ্রেমীরা খুবই সুখী স্বভাবের। সেই সঙ্গে এরা বন্ধুবৎসল। খুবই প্রাণবন্ত স্বভাবের, তাই এরা একদম একঘেয়েমি সহ্য করতে পারে না। ঘোড়াপ্রেমীরা খুবই অ্যাডভেঞ্চারপ্রিয়।
৭) যারা শেয়ালপ্রেমী: শেয়ালপ্রেমী কথাটা শুনেই আঁতকে উঠছেন? হ্যাঁ, নেপাল, চিন, তিব্বত— এই সব অঞ্চলে শেয়াল কিন্তু নিশাচর প্রাণী নয়। এই সব অঞ্চলে শেয়াল ও মানুষের সহাবস্থান আছে, ঠিক আমাদের এখানে কুকুরের মতোই। তাই যারা শেয়াল ভালবাসে স্বভাবের দিক থেকে তারা একটু স্বাধীন প্রকৃতির হয়। এরা খুব আত্মবিশ্বাসী এবং আবেগপ্রবণ মানসিকতার লোক।
৮) যারা তোতাপাখি প্রেমী: ভিনদেশের পাখি তোতা এখন অনেকের প্রিয়পাখি। এমন অনেকে আছেন বহু অর্থ খরচ করে নানা প্রজাতির তোতাপাখি পোষেন। যারা তোতাপ্রেমী তারা খুব সহজেই অন্যের সঙ্গে যোগাযোগ গড়ে তুলতে পারেন। এদের বাচনভঙ্গির মধ্যে এমন আকর্ষণীয় শক্তি আছে যা দিয়ে খুব সহজেই অন্যের মন জয় করে নিতে পারেন।
৯) যারা ডলফিনপ্রেমী: ইউরোপ ও আমেরিকায় এখন অনেকেই ডলফিন পোষে। ডলফিন যারা পোষে তিব্বতীয় মতে তারা কমবেশি সুন্দরের উপাসক। তারা যে কোনও সুন্দর বস্তুকে আপন করে নিয়ে থাকে। এরা যে পরিবেশে বাস করে সেখানকার মানুষজন এদের খুব ভালবাসে। তবে এরা যখন কাউকে প্রেম নিবেদন করে তখন তারা অনেক সময় প্রত্যাখাত হয়।
১০) যারা বানর বা হনুমানপ্রেমী: হনুমানপ্রেমীরা খুব সহজেই যে পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে চলতে পারে। মানসিক ভাবে এরা স্থির নয়, ফলে এদেরকে বহু সমস্যার সন্মুখীন হতে হয়।
১১) যারা হস্তিপ্রেমী: হস্তিপ্রেমীরা খুব স্বাভাবিক ভাবেই শান্ত স্বভাবের, মাথা ঠান্ডা করে সব দিক রক্ষা করে কাজ করে। যে কোনও বিরূপ পরিস্থিতিকে এরা নিজের অনুকূলে এনে থাকে। এদের ব্যবহারে এমন কিছু আছে যারা এদের সঙ্গে যখন মিশেছেন তাদের মনে এদের ব্যবহারের ছাপ পড়ে।