—প্রতীকী ছবি।
হিন্দু ধর্মের যে কোনও শুভ বা মাঙ্গলিক কাজ উলুধ্বনি ছাড়া সম্পন্ন হয় না। পুজো, বিয়ে, অন্নপ্রাশন প্রভৃতি সকল শুভ অনুষ্ঠানেই উলুধ্বনি দেওয়া অপরিহার্য।
তবে এখনকার যুগে অনেকেই এটিকে নিছক সংস্কার বলে মনে করেন। যার ফলে এখন হয়তো অনেকেই উলুধ্বনি দিতে পারেন না। কিন্তু ঠিক মতো জানলে দেখা যাবে যে উলুধ্বনির মাহাত্ম্য প্রবল।
উলুধ্বনির মাধ্যমে আমরা দেবতাগণকে সন্তুষ্ট করে থাকি এবং এতে তাঁদের আশীর্বাদও পাওয়া যায় বলে বিশ্বাস। এই উলুধ্বনি দেওয়ার ফলে যে কোনও মাঙ্গলিক কাজ আরও বেশি মঙ্গলজনক হয়ে ওঠে।
উলুধ্বনি দিলে কী সুফল পাওয়া যায়?
১) উলুধ্বনিতে আমাদের আশপাশের পরিবেশ পবিত্র হয়ে ওঠে।
২) এর ফলে বাড়ি থেকে সমস্ত অশুভ শক্তি দূরে সরে যায়।
৩) উলুধ্বনি সব ধরনের অশুভ শক্তি নাশ করে শুভ শক্তিকে বাড়িতে প্রবেশ করতে সাহায্য করে, ফলে দ্রুত সফলতা পাওয়া যায়।
৪) উলুধ্বনি বাতাসে যে কম্পন সৃষ্টি করে তাতে পরিবেশ জীবাণুমুক্ত হয়।
ছেলেরা কেন উলুধ্বনি দেয় না?
অনেকের মনেই একটি প্রশ্ন থেকে যায় যে, ছেলেদের কেন উলুধ্বনি দিতে দেওয়া হয় না। এর কারণ উলুধ্বনি একটি স্ত্রী-আচার। তাই মেয়েরাই এই আচারটি পালন করে থাকেন। এ ছাড়া, মেয়েদের একসঙ্গে দেওয়া উলুধ্বনিতেই দেবতারা বেশি সন্তুষ্ট হন বলে কথিত।
মেয়েদের উলুধ্বনি দেওয়ার বিশেষ একটি কারণও আছে। উলুধ্বনি দেওয়ার ফলে মেয়েদের পেট সঙ্কুচিত হয় এবং এর ফলে নানা প্রকার স্ত্রী-রোগ নির্মূল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করা হয়।