শশক জাতীয় পুরুষ
এই জাতীয় পুরুষ দেখতে হবেন সুন্দর, মন হবে সদা প্রফুল্ল। এঁরা কোঁকড়ানো চুল বিশিষ্ট হন। এঁদের শরীর হয় অতি কান্তি বিশিষ্ট ও সুলক্ষণ যুক্ত। এঁদের শরীর হয় গোলাকার ও হাত পা হয় খুব সুন্দর। এই জাতীয় পুরুষ হন শান্ত শিষ্ট ও পরোপকারী। পরের উপকারের মধ্যে নিজের আনন্দ খোঁজার চেষ্টা করেন এঁরা। এই পুরুষদের মন হয় কামহীন। এঁদের মনে কোনও পাপ থাকে না। একনিষ্ঠ ও উচ্চ মানসিকতার প্রেম এঁরা বেশি পছন্দ করেন। তাই একাধিক নারীর প্রতি এঁরা আকৃষ্ট হন না। তবে এঁদের কামেচ্ছা মাঝে মাঝে উদ্ভুত হয়। এঁদের গুরু ভক্তি, ধ্যান ও উপাসনায় প্রবল মন থাকে। দেহের আকার মধ্যম হয়।
মৃগ জাতীয় পুরুষ
মৃগ জাতীয় পুরুষরা সাধারণত দীর্ঘাঙ্গ হন। এঁদের চলাফেরার ধরন দেখেই বোঝা যায় এঁরা কোন জাতের। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এঁরা সঙ্গীতে মগ্ন থাকেন। দেবতা ও অতিথি সেবাই পরম ধর্ম বলে মনে করেন। শশক জাতীয় পুরুষদের মতো এঁদের মন অতটা পাপহীন না হলেও এঁদেরও মন হয় নির্মল ও বিশুদ্ধ। এঁরা হন খুব ভোজনবিলাসী। এঁরা ধর্ম পরায়ণ হলেও মনে কপটতা থাকে। তবে সেটা আচার ব্যবহারে বোঝা যায় না। প্রেম ও কাম এঁদের পছন্দের, তাই শশকের চেয়ে একটু বেশি নারীসঙ্গ পছন্দ করেন এঁরা।
আরও পড়ুন: পদ্মিনী, চিত্রিণী, শঙ্খিনী, হস্তিনী— এই চার প্রকার নারী চেনার উপায় জেনে নিন
বৃষ জাতীয় পুরুষ
বৃষ জাতীয় পুরুষদের পা ছোট ও জিহ্বা লম্বা হয়। এঁরা অত্যন্ত খাদ্য রসিক হন। কোনও অন্যায় কথা বলতে বা অন্যায় কাজ করতে এঁদের একটুও দ্বিধা বোধ হয় না। এক কথায় এঁরা নির্লজ্জ ও অধার্মিক হয়ে থাকেন। এঁদের দেহ হয় বলিষ্ঠ, কর্কশ কণ্ঠস্বর ও গতি হয় চমৎকার। পাপের ছাপ সব সময় এঁদের মধ্যে থাকে। এঁরা নারী দর্শনের অভিলাষী হন। শুধু দর্শন নয়, দিবারাত্র নারীসঙ্গ চান এঁরা। কামের জন্য এঁরা সব কিছু করতে পারেন।
অশ্ব জাতীয় পুরুষ
এই পুরুষরা অধার্মিক, মিথ্যাবাদী ও দূরাচারী হন। এঁরা খুব দ্রুত চলাফেরা করতে পারেন। পরনিন্দা ও পরচর্চা করতে খুব পছন্দ করেন। এঁরা প্রচণ্ড ভোজন রসিক হন। অন্য নারীর প্রতি আকর্ষণ ও তাঁদের সঙ্গ ভীষণ ভাবে কামনা করেন। এই ধরনের মানুষ খুব রাগী ও বাচাল হন। এঁদের মেজাজ যেন মেঘের গর্জন। এঁদের হাত পা বলিষ্ঠ ও মাথায় ঘন চুল থাকে।