—প্রতীকী ছবি।
৩০ জুন, শনি গতি পরিবর্তন করে বক্রগতি প্রাপ্ত হয়েছে। গ্রহের গতি পরিবর্তন প্রাকৃতিক বিষয়। প্রতি বছরের কয়েক মাস শনি বক্রগতিতে অবস্থান করে। সূর্য এবং শনি গ্রহের নির্দিষ্ট কৌণিক দুরত্বে অবস্থানকালে শনি গ্রহকে পৃথিবীর স্বাপেক্ষে বক্রগতি প্রাপ্ত মনে হয়। জ্যোতিষে রবির থেকে নবম স্থানের কিছু অংশ থেকে পঞ্চম স্থানের কিছু অংশে শনির অবস্থানকালে শনি বক্রগতি প্রাপ্ত হয়। গ্রহ বক্রগতি প্রাপ্ত হলে গ্রহের চেষ্টাবল বৃদ্ধি পায়। পৃথিবীর কাছাকাছি অবস্থান এবং চেষ্টাবল বৃদ্ধির কারণে ফলদানের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। গ্রহ বক্রগতি প্রাপ্ত হলে গ্রহের অবস্থানরত স্থান এবং পূর্ববর্তী স্থানেরও ফলদান করে।
ফল বা প্রভাব দান গ্রহের গতি প্রাপ্তির সঙ্গে সঙ্গে বৃদ্ধি পায়। শনি ৩০ জুন ভারতীয় সময় রাত ১২টা বেজে ৪৭ মিনিটে গতি পরিবর্তন করেছে এবং ১৫ নভেম্বর ২০২৪ ভারতীয় সময় রাত ৮টা ০৮ মিনিট পর্যন্ত বক্রগতিতে অবস্থান করবে। আগামী ১৬ নভেম্বর পুনরায় সম্মুখাভিমুখ গতি প্রাপ্ত হবে।
শনির বক্রগতির সময়ে বিশেষ সচেতনতা অবলম্বন জরুরী কয়েকটি রাশির।
কুম্ভ রাশির শারীরিক, মানসিক এবং মকর রাশির শারীরিক, অর্থনৈতিক এবং পারিবারিক বিষয়ে প্রভাব পড়বে।
কর্কট রাশির অষ্টমে শনি, মিথুন রাশিরও সচেতন থাকা উচিত। বৃশ্চিক রাশির চতুর্থে শনি, সচেতনতা অবলম্বন জরুরী তুলা রাশিরও।
শুভ বা অশুভ বা কতটা শুভ বা অশুভ ফল প্রাপ্তি হবে তা সম্পূর্ণ নির্ভরশীল জন্মকালিন গ্রহের অবস্থানের উপর। অর্থাৎ জন্মকুণ্ডলীতে গ্রহের অবস্থান, গ্রহের শুভত্ব বা অশুভত্ব কোন গ্রহের সঙ্গে কোন গ্রহের শুভ বা অশুভ সম্পর্ক ইত্যাদির উপর।