চুনি বায়ু, পিত্ত এবং কফের প্রভাব প্রশমিত করতে পারে। ছবি: সংগৃহীত
গ্রহের সুফল প্রাপ্তি সকলেরই অভিপ্রায়। অশুভ গ্রহের অশুভত্ব নাশ, হ্রাস এবং শুভত্ব বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন প্রতিকারের বিধান থাকলেও অশুভ গ্রহের প্রতিকারের জন্য সর্বাধিক প্রচলিত গ্রহরত্ন বা উপরত্ন ধারণ। গ্রহরত্ন বা উপরত্ন ধারণের কিছু নিয়ম থাকলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তা মানা হয় না (নিয়ম না জানার কারণে)। অধিকাংশ মানুষের ধারণা যে, কোনও গ্রহের রত্ন বা উপরত্ন ধারণেই গ্রহের সমস্ত অশুভত্ব নাশ হয়ে যায় এবং ওই গ্রহ সর্বক্ষেত্রেই শুভ ফলদান করতে শুরু করে। এই ভ্রান্ত ধারণার বশবর্তী হয়ে অধিকাংশ ক্ষেত্রে অপ্রয়োজনীয় গ্রহরত্ন বা উপরত্ন ধারণ করেন। যার ফলে বিপরীত প্রতিক্রিয়ার কারণে বিভিন্ন সমস্যায় ভোগেন, ফলস্বরূপ জ্যোতিষশাস্ত্রের প্রতি বিতৃষ্ণা এবং ভুল ধারণার সৃষ্টি হয়।
গ্রহের রত্ন বা উপরত্ন ধারণের পূর্বে রত্ন এবং অন্যান্য বেশ কিছু বিষয়ে ধারণা প্রয়োজন।
সৌরমণ্ডলের মধ্যমণি সূর্যদেব (রবি)। আত্ম কারক রবি মান-সম্মান, যশ, প্রতিষ্ঠা ইত্যাদির কারক গ্রহ।
রবি গ্রহের রত্ন চুনি। চুনি রক্তাভ লাল এবং স্বচ্ছ।
চুনি বায়ু, পিত্ত এবং কফের প্রভাব প্রশমিত করতে পারে। ক্ষত, ঘা, পেটের সমস্যা, অবসন্নতা, অস্থির (হারের) সমস্যা, রক্তশূন্যতা, হৃদ্যন্ত্রের সমস্যার থেকে মুক্তি দিতে পারে।
কখন চুনি ধারণ করা যায়—
রবি নীচস্থ, শত্রুক্ষেত্রে অবস্থান, অশুভ গ্রহের দ্বারা পীড়িত হয়ে লগ্নের তৃতীয়, চতুর্থ, নবম, দশম এবং একাদশে অবস্থান করলে রবির প্রতিকার হিসাবে চুনি ধারণ করা যেতে পারে।
চুনির বিকল্প-গারনেট, স্টাররুবি ইত্যাদি।
চুনি ধারণ করলে কোন রত্ন ধারণ করা যায়, কোন রত্ন ধারণ করা উচিত নয়।
চুনি ধারণ করলে প্রবাল, পান্না, পোখরাজ (হলুদ), গোমেদ ধারণ করা যেতে পারে। হিরে, কাটসঅ্যাই ধারণ না করাই ভাল। চুনি ধারণ করলে নীলা ধারণ করা উচিত নহে।
চুনি ধারণের নিয়ম—
রবিবার সকাল অথবা কৃত্তিকা, উত্তর ফাল্গুনী, উত্তর আষাঢ় নক্ষত্রে সূর্য উদয়ের ৪৮ মিনিটের মধ্যে সঠিক ভাবে শোধন করে অনামিকায় চুনি ধারণ করা উচিত। চুনি ধারণের জন্য সোনা ব্যবহার করা উচিত।
যে কোনও গ্রহের রত্ন ধারণ অথবা প্রতিকারের ক্ষেত্রে সঠিক ধারণা না থাকলে অভিজ্ঞ জ্যোতিষীর পরামর্শ গ্রহণ করা উচিত।